ব্রিটবাংলা ডেস্ক : এখনই লাগাম টেনে না ধরলে আগামী মাস থেকে ইংল্যান্ডে প্রতিদিন দু’হাজার থেকে ৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন সরকারের সাইন্টিফিক উপদেস্টারা।
মঙ্গলবার টেন ডাউনিং স্ট্রীটে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা সংক্রমন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দৃঢ়ভাবে বলেছেন, আগামী শরৎ এবং শীতে করোনা সংক্রমন ঠেকাতে নতুন কোনো বিধি নিষেধ আরোপ করতে হবে না বলে তিনি আশাবাদী। তবে হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে প্রয়োজনে প্লান বি হিসেবে করোনা সংক্রমন ঠেকাতে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট, মাস্ক পরার উপর বাধ্যবাদকতা আরোপ এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোম পুনরায় আরোপ করা হতে পারে বলে বিবেচনায় রেখেছেন তিনি।
সরকারের এস-এ-জি-ই এডভাইজারি কমিটির একটি গবেষণা রিপোর্টে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনে সাফল্য স্বত্ত্বেও এক বছর আগের করোনা সংক্রমন, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর জন্য সরকারকে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আগামী শীতে সেই চিত্র মোকাবিলা করতে হবে সরকারকে।
সংবাদ সম্মেলনে চীফ সাইন্টিফিক এডভাইজার স্যার প্যাট্রিক ভ্যালান্স বলেছেন, গত এক বছর করোনার সঙ্গে লড়াই করে এই অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে যে, আপনি যা করতে চান বলে চিন্তা করছেন সেটা তার আগেই করে নিতে হবে। যতোটা কঠোর হবেন বলে ভাবছেন তার আগেই তার চাইতে বেশি কঠোর হতে হবে না হলে এই ভাইরাসের সঙ্গে পেরে উঠতে পারবেন না।
এদিকে পার্লামেল্টে হেল্থ সেক্রেটারী সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, শরৎ এবং শীতে করোনা সংক্রমন ঠেকাতে প্লান ‘এ’ হিসেবে ৫০ বছর বয়স থেকে শুরু করে সবাইকে বোস্টার এবং ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জনসাধারনকে যতোটা সম্ভব ঘরের বাইরে সমাগম এবং মাস্ক পরার জন্যে পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।
উল্লেখ্য গ্রীস্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইংল্যান্ডে করোনার সব সরকারী বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছিল।