যেভাবে খুন হলেন হাইতির প্রেসিডেন্ট

হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি নিজ বাসভবনে খুন হয়েছিলেন গত বুধবার সকালে। একদল অস্ত্রধারী তাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় আহত হন তার স্ত্রী মার্টিন মইসি। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সেখান থেকে তিনি প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন; জানিয়েছেন কিভাবে হামলা চালানো হয়েছিল তাদের ওপর। রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।শনিবার মার্টিন মইসি তার টুইটার পেজে একটি কথন-বার্তা (ভয়েস মেসেজ) পোস্ট করেন। এ বার্তা যে মার্টিন মইসির, তা একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওই বার্তায় মার্টিন মইসি জানান, তাদের বাড়িতে হামলা হয়েছিল মধ্যরাতে। তিনি বলেন, এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলা সংগঠিত হয়েছিল যে তার স্বামী একটি শব্দও উচ্চারণের সময় পাননি।

মার্টিন মইসি বলেন, ‘চোখের পলকে ভাড়াটে (খুনিরা) আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং বুলেটের গুলিতে আমার স্বামীকে ঝাঁঝরা করে দেয়।’ তিনি বলেন, ‘এ ঘটনাকে কী বলা যেতে পারে! কারণ একটা শব্দও বলার সুযোগ না দিয়ে জোভেনেল মইসির মতো একজন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার জন্য যে কাউকে চরম অপরাধী হতে হবে।’মার্টিন ইঙ্গিত দেন যে রাজনৈতিক কারণে তার স্বামীকে নিশানা করা হয়েছে। বিশেষ করে সংবিধান পরিবর্তনে গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনার কারণে। তিনি বলেন, ‘আমি কাঁদছি, এটা সত্য। কিন্তু দেশকে তার গতিপথ থেকে সরে যেতে দেওয়া যায় না।’মার্টিন মইসি জানান, অজ্ঞাত হত্যাকারীরা বলেছিল, তারা প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির স্বপ্ন শেষ করে দিতে চায়। তিনি বলেন, তারা প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারেন না। জোভেনেল মইসির কাজ এগিয়ে নিতে, অব্যাহত রাখতে অঙ্গীকার করেন তার স্ত্রী মার্টিন মইসি।

প্রসঙ্গত, জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডে ২৮ জন ভাড়াটে অস্ত্রধারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইতির পুলিশ। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার নাগরিক; আর ২ জন মার্কিনী। হাইতির পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক দলের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩ জন পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। আরও ৮ জন পলাতক।

Advertisement