যে চলে যায় সে কি ফিরে আসে ! প্রসঙ্গঃ মৌলভীবাজারের শাহবাব,মাহির হত্যাকান্ড

:নজরুল ইসলাম:

মৌলভীবাজারের মোহাম্মদ আলি সাহবাব ও নাহিদ আহমদ মাহি হত্যাকান্ড একটি পরিবারে স্বপ্নকে করেছে বুলেটবিদ্ধ।

অভিভাবকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনিশ্চিয়তা। আমার চোখে দেখা অত্যন্ত স্মার্ট গুড লুকিং সম্ভাবনাময়ী দুটি স্কুল কলেজ ছাত্র।

সম্মানিত অভিভাবক ও দায়িত্বশীলরা শাহবাব,মাহির হত্যাকান্ড কি আমাদেরকে ভাবায়নি এখনই সময় এসেছে আমাদের যুব সমাজের মানবিক অধঃপতনের কারণ উৎঘাটন সমস্যা চিহ্নত কারণ ও এর থেকে উত্তরনে কাজ করা।

ঢালাও ভাবে সকল ছাত্র নেতাদের একি দৃষ্টি ভঙ্গিতে দেখা উচিত নয়। এখনও অনেক মেধাবী ভদ্র ছাত্র নেতা আছেন চোখে পড়ে। আলোচ্য বিষয় নিয়ে মৌলীবাজারের জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির অবস্থান সামাজিক মাধ্যমে আমার চোখে পড়েছে। আমার কাছে প্রায়ই মনে হয়েছে সে একজন শিক্ষিত ভদ্র মার্জিত ছাত্র নেতা। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি ভাল বুঝেন, তারা অনেক জ্ঞানী গুণী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ইলেকশন ক্যাম্পাইনে বলেছেন ‘Politicians are all talk, no action’ যার অর্থ রাজনীতিবিদরা আপনাকে কথা দিবে কিন্তু কথা রাখতে পারে না।

আমি রাজনৈতিক কর্মী তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপ্রিয় সত্য কথা আমাকে ব্যথিত করেনি,আর আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা এই সব কথায় তো কর্নপাতই করেন না। আমার সহজ সরল ভাবনা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা স্কুল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি যা প্রাইমারির দিকে ধাবিত তা আমাদের বাচ্চাদের লেখা পড়ায় সাথে সাংঘর্ষিক প্রতিবন্ধক।

ছেলে আপনার আর নিয়ন্ত্রণ বখাটেদের হাতে কি উদ্ভট !ছাত্রনেতা নামধারী কোন বখাটে যার নেই কোন একাডেমিক শিক্ষা, নেই কোন সফলতা, নেই কোন স্বপ্নকে যে অন্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য অন্যের হয়ে কাজ করে।

যে আপনার ছেলের হাতে অস্র দিয়ে যে বলে গুলি করে উড়িয়ে দাও , যার পরশে আপনার অতিউৎসায়ি ছেলে আপনার স্বপ্নকে নিমিষের মাটির সাথে গুটিয়ে দিতে সময় নেয় না। এমন নেতা যার কুমন্ত্রে আপনার ছেলে influence হয় সেই দিকে দৃষ্টি রাখুন।

তার থেকে আপনার ছেলেকে দূরে রাখুন। আপনার ছেলের মতিগতি কথা বার্তা আচার আচারণের প্রতি নজরদারি বাড়ান,এবং তাকে একটি সঠিক দিক নির্দেশনা দিন। আপনার স্কুল পড়ুয়া ছেলের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে নিয়ে আসুন। অভিবাহক প্লিজ জেগে উঠুন।

সামজের শিক্ষক শিক্ষাবিদ সুশীল ছাত্রসমাজ নেতা রাজনিতিধিরা আমরা কি একি টেবিলে বসে একটি ইউনিক সিদ্ধান্তে আসতে পারিনা যে মাহি,শাহবাবের মত আমাদের সম্ভাবনাময়ী ছাত্র ও তাদের পরিবারের আগামীর স্বপ্ন বিনির্মানে যে সব প্রতিবন্ধকতা তাদের বিপদগামী করছে তা সামগ্রিক ভাবে আমরা মোকাবেলা করব। দেখেন অভিবাহক হিসাবে আমরা কেউই দায় এড়িয়ে যেতে পারি না।

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে অনেক জ্ঞানী গুণী বুদ্বিজীবি শিক্ষাবিদ যুগ যুগ বিশদ আলোচনা করেছেন। কিছুদিন পূর্বে ছাত্র রাজনীতির গুরুত্ব অনুধাবন এর অতীত ঐতিহ্য আর বর্তমান প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আমার চিন্তা ভাবনার বহিঃ প্রকাশ করেছি একটি আর্টিকেল লেখনীর মাধ্যমে। মৌলীবাজারের স্কুল ও কলেজ ছাত্র শাহবাব,মাহির হত্যাকান্ড আমাকে আবারো উদ্ভিগ্ন করেছে তাই প্রাসঙ্গিক আলোচনা করতে গিয়ে আবারো একি আলোচনার পুনরাবৃত্তি করছি। আসা করছি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

ছাত্র রাজনীতি এখন স্কুল ভেদ করিয়া প্রাইমারি স্কুলের দিকে ধাবিত। আমাদের গর্বিত ইতিহাস ধারণকারী ছাত্র রাজনীতির বর্তমান অবস্থা কি এই বিষয়ে তেমন প্যাচাল পাড়ার ইচ্ছে আমার নেই।

ছাত্র রাজনীতির সুফল কুফল নিয়ে সেই প্রাইমারি স্কুল থেকে আজওবধি শুনে আসছি। মৌলিক সমস্যা সমাধান বা এর থেকে উত্তরণের জন্য আমরা দায়িত্বশীলরা রাস্তার Roundabout এ শুধুই ঘুরছি আর ঘুরছি কোন Exit নিচ্ছি না। সেই একই চিন্তা চেতনা নিয়েই আমরা অগ্রসর হচ্ছি সামনের দিকে Nothing has been change since,

ছাত্র রাজনীতি বলতে আমি যা বুঝি, ছাত্র ছাত্রী সংশ্লিষ্টদের কল্যাণের জন্য রাজনীতি। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করবে, ডিগ্রী অর্জন করবে, নিজের ক্যারিয়ার গড়বে ,প্রশ্ন, এক্ষেত্রে রাজনীতি করার প্রয়োজনটা কী? প্রয়োজন আছে এই জন্যই যে, শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে যে বৈষম্য অনিয়ম তা দূর করার জন্য ছাত্র রাজনীতি ভূমিকা রাখতে পারে। ভূমিকা রাখতে পারে ছাত্রদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।

আজকে যারা ছাত্র আগামি দিনে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্নধার। সমাজ ও রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেয়ার রাজনৈতিক ও একাডেমিক যোগ্যতা তাদেরকে অর্জন করতে হবে। আর দেশ ও সমাজের প্রতি আগামীর ভবিষ্যত প্রিয় ছাত্রদের একটা দায়িত্ববোধ তো আছেই।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাম্পাসে সহিংসতা চলছে সেই থেকে আজওবধি। নিজেদের স্বার্থে ছাত্রদের পড়াশুনার জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়ে এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার কথা বলছি কিন্তু প্রধান সমস্যাটিকে সামনে নিয়ে আসছি না। যে ছাত্রের হাতে বই থাকার কথা তার হাতে অস্ত্র কেন? একজন ছাত্র যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ছাত্র সংসদের নেতা হতে চায় তার চিন্তা চেতনায় থাকতে হবে আমি কিভাবে সবার চেয়ে চরিত্রবান নীতিবান ও মেধাবি হব। প্রতিদিন তাকে ক্লাসে উপস্থিত হতে হবে, সহপাঠি ছাত্রদের কাছে তার যোগ্যতা প্রমান করতে হবে। তাকে নিয়ম নীতি মেনে ক্যাম্পাসে চলতে হবে। তাকে যদি সত্যিকারের নেতা হতে হয় তাহলে সে প্রথমে নিজেকে বোঝার চেষ্টা করবে, নিজের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে আসল মনুষ্যত্বকে খুঁজে নিবে। আজকাল কি এই গুলো চোঁখে পড়ে?

আমি নিজে একটি রাজনীতি দলের কর্মি। আমার কাছে প্রায়ই মনে স্কুল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি সিদ্বান্তটি ছাত্রদের লেখাপড়ার সাথে প্রতিবন্ধক সাংঘর্ষিক । ১৯৫২ ১৯৬৬,১৯৭১ ইং এর প্রেক্ষাপট দিয়ে বর্তমান সময়ের ছাত্র রাজনীতিকে যারা বিচার বিশ্লেষন করে ছাত্র রাজনীতিকে সাধুবাদ দিয়ে যারা লম্বা বক্তব্য দেন -আমার কাছে প্রায়ই মনে হয় তারা মুখস্ত বক্তব্য পড়েন।

তখনকার ছাত্র রাজনীতি, ছাত্রনেতা কর্মীদের একটি শক্তিশালী নৈতিকতাবোধ ছিল। তাদের মধ্যে ছিলনা দুর্বৃত্ত্যাযন ,ছিলনা সিন্ডিকেট বাণিজ্য ,ছিলনা টেন্ডারবাজি। তারা একটি ইউনিউক নীতি আদর্শ নিয়েই দেশের কল্যানে রাজনীতি করেছেন যা আজ আর নেই।

বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী বই পড়ে আরেকবার মনে হল কেন জাতির জনককে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে ভূষিত করা হযেছে ! ছাত্র ও ছাত্র রাজনীতির উদ্দেশ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কি কিছু বলেছিলেন তা জানার ইচ্ছে হল। অনেক গুগুলিং করে খুঁজে পেয়েছি ১৯ অগাস্ট, ১৯৭৩, সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কি বলেছিলেন। যা পড়ে আমার কাছে আবার মনে হলো বঙ্গবন্ধু শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন অভিভাবক এবং thoughtful ব্যাক্তিত্বের অধিকারী শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

ছাত্রলীগের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলছেন বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখ। যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোনো লাভ নেই।

আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু থাকে বাপ-মাকে সাহায্য কর। প্যান্ট পরা শিখেছো বলে বাবার সাথে হাল ধরতে লজ্জা করো না। দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখ- কানাডায় দেখলাম ছাত্ররা ছুটির সময় লিফট চালায়। ছুটির সময় দু’পয়সা উপার্জন করতে চায়। আর আমাদের ছেলেরা বড় আরামে খান, আর তাস নিয়ে ফটাফট খেলতে বসে পড়েন। গ্রামে গ্রামে বাড়ীর পাশে বেগুন গাছ লাগিও, কয়টা মরিচ গাছ লাগিও, কয়টা লাউ গাছ ও কয়টা নারিকেলের চারা লাগিও। বাপ-মারে একটু সাহায্য কর। কয়টা মুরগী পাল, কয়টা হাঁস পাল, জাতীয় সম্পদ বাড়বে। তোমার খরচ তুমি বহন করতে পারবে। বাবার কাছ থেকে যদি এতটুকু জমি নিয়ে ১০টি লাউ গাছ, ৫০টা মরিচ গাছ, কয়টা নারিকেলের চারা লাগায়ে দেও, দেখবে ২/৩ শত টাকা আয় হয়ে গেছে। তোমরা ঐ টাকা দিয়ে বই কিনতে পারবে। কাজ কর, কঠোর পরিশ্রম কর, না হলে বাঁচতে পারবে না। শুধু বিএ এম এ পাস করে লাভ নেই। আমি চাই কৃষি কলেজ, কৃষি স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল কলেজ ও যাতে সত্যিকারের মানুষ পয়দা হয়। বুনিয়াদি শিক্ষা নিলে কাজ করে খেয়ে বাঁচতে পারবে। কেরানী পয়দা করেই একবার ইংরেজ শেষ করে দিয়ে গেছে দেশটা। তোমাদের মানুষ হতে হবে ভাইরা আমার। আমি কিন্তু সোজা সোজা কথা কই, রাগ করতে পারবে না। রাগ কর আর যা কর আমার কথা গুলো শুন। লেখাপড়া কর আর নিজেরা নকল বন্ধ কর। আর এই ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতির বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে থানায় থানায় সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোল। প্রশাসনকে ঠিকভাবে চালাতে সময় লাগবে। তোমাদের আমি এতটুকু অনুরোধ করছি তোমরা সংঘবদ্ধ হও। আর মেহেরবানী করে আত্মকলহ করো না। এক হয়ে কাজ কর। দেশের দুর্দিনে স্বাধীনতার শত্রুরা সংঘবদ্ধ,সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা দলবদ্ধ, তোমাদের সংঘবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

আপনি একটি দলের সাতে সম্পৃক্ত, কিনতু দলের নীতি নির্ধারকাদের কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলতে ভয় পান। আপনার অবস্থান Toothless Bulldog “টুথ লেস বুল ডগের,–মত যার অর্থ হচ্ছে “আপনার দাঁত আছে কিন্তু আপনি কামড়াতে পারেনা -সেটা কি ঠিক ? না , আপনার গঠন মূলক সমালোচনা বাস্তবতার নীরিক চিন্তা ভাবনা দলকে করতে পারে সুশৃঙ্খল সমৃদ্ধ । স্কুল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি আমাদের নিষ্পাপ বাচ্চাদের আগামীর স্বপ্ন বিনির্মাণে কতটা ভয়ঙ্কর প্রতিবন্ধক ও সাঙ্ঘরসিক মাঠ পর্যায়ের একজন কর্মি বা নেতা হিসাবে আপনিই ভাল জানেন ! আপনার প্র্যাকটিকেল অভিজ্ঞতা মতামত আপানার দলের নীতি নির্ধারকের জন্য সহায়ক নয় কি ? সমস্য , আমরা সবই জানি সবই বুঝি কিন্তু আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা আমাদের বড়ই বোবা করে রেখেছে।

হাইস্কুলে ছাত্র রাজীনীতি যে শুভকর নয় ,কমলমতি বাচ্চাদের জন্য যে তা ভয়ঙ্কর মৌলভীবাজারের মাহি ,শাহবাবের হত্যাকান্ড কি প্রমান করে না? আমাদের কলিজার টুকরা ছেলেরা কেউ হচ্ছেন বুলেটবিদ্ধ কেউ ব্যবহার হচ্ছেন বুলেটের গুলি। মা বাবা অভিবাবহক বাকরুদ্ধ আর রাজনীতিবিদরা প্রশ্ন ছুড়ছেন এ দায় কার ? এ হত্যাকান্ড কি আভ্যন্তরিক না বাহ্যিক বাহ্যিক কুন্দলের ফসল, না অলৌকিক ? আচ্ছা আপনারা কি মনে করেন এই সব উদ্ভট প্রশ্ন নতুন কিছু ? এসব দুর্ঘটনা randomly রেনডেমলি কিছু দিন পর পর পুনরাবৃত্তি মাত্র নয় কি?

আচ্ছা ,দায় নিলেই কি হবে আর দায় এড়ালেই বা কি ? শাহবাব,মাহিকে কি তার মা -বাবা পরিবার বন্দু বান্দব শুভাকাঙ্খীরা আর ফিরে ফিরে পাবে ?

শিল্পী আজম খাঁনের রেললাইনের ঐ বস্তি গানের লিরিক্সে বলেছেন —
কত মার র্অশ্রূ আজ নয়নে
কে তা বুঝাবে বা কেমনে—।।
যে চলে যায় সে কি ফিরে আসে—-ও আমার বাংলাদেশ বাংলাদেশ।
যে চলে যায় সে আর ফিরে আসেনা। ছেলে হারানোর বেদনা তারাই উপলব্দি করতে পারবেন যারা হারিয়েছে ইহা বড়ই বেদনাদায়ক কস্টকর, হরর অভিজ্ঞতা ।

আজকের মেধাহীন ছাত্র রাজনীতিতে কে সিনিয়র কে জুনিয়র এই সব মামুলি বিষয় নিয়ে ঠেলা দেক্ষা শুরু হয়ে যা হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়। মৌলভীবাজারের হত্যাকাণ্ডের মধ্যে এই সবের উপস্থিত ছিল বলে সামাজিক মাধ্যমে চোখে পড়েছে। তাই বলতে চাই আমাদের সম্ভাবনাময়ি আগামির ভবিষ্যৎ স্কুল ছাত্রদের স্কুল পর্যায়ে কিভাবে তাঁদের রাজনীতিতে বাহিরে রাখা যায় নীতি নির্ধারকদের বিষয়টি ভাবিয়া দেখা প্রয়োজন। পাশাপাশি মৌলভীবাজারের স্কুল ছাত্র মাহি আর কলেজ ছাত্র শাহবাব হত্যা কান্ড কি আমাদের ভাবায় না স্কুল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি এখনি deactivate বন্ধ সময়ের দাবী। আর সম্মানিত অভিবাবহকদের বলতে চাই আপনার স্কুল পড়ুয়া ছেলের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতের মুঠোয় নিয়ে আসুন।

নজরুল ইসলাম
ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস লন্ডন,
মেম্বার, দি ন্যাশনাল অটিষ্টিক সোসাইটি ইউনাইটেড কিংডম
আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
trade.zoon@yahoo.com

Advertisement