ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ওয়েলসের সোয়ানসী শহরের মুসলিম কমিউনিটির পরিচিত এক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে যৌন হয়রানীর দায়ে ১৩ বছরের জেলদন্ড দিয়েছে সোয়ানসী ক্রাউন কোর্ট। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আবেদিন। তার বয়স ৬২ বছর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোয়ানসীর মুসলিম কমিউনিটি দুইভাবে বিভক্ত হয়ে গেছে বলে কোর্টের শোনানিতে বলা হয়েছে।
আদালতের শোনানিতে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত মোহাম্মদ আবেদিনের যৌন হয়রানীরি শিকার এক ভুক্তভোগির একটি চিঠি থেকে প্রথম বিষয়টি সবার নজরে আসে। এই ভুক্তভোগির নাম-পরিচয় কিছুই প্রকাশ করা হয়নি আদালতে। তবে বলা হয়েছে, এই ভুক্তভোগী দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ আবেদিনের লালসার শিকার হয়ে আসছিল, কিন্তু ভয়ে কোনো দিন মূখ খুলতে সাহস পায়নি। মুখ খুললে বা অভিযোগ করলে তার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না এবং এতে তাদের পরিবারের আরো দুর্গতি বাড়বে, এসব ভয়ে সে কোনো দিন মুখ খুলেনি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে।
মোহাম্মদ আবেদিনের যৌন হয়রানী শিকার এই মেয়েটি এক সময় তার বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করে। কিন্তু যাবার আগে সেই চিঠিতে সে যৌন হয়রানীর সব কাহিনী লিখে রেখে গেছে। এই চিঠির সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। যদিও চিঠিতে সে অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে যায়নি। তবে এই চিঠির ঘটনা জানাজানি এবং পুলিশের তদন্ত শুরুর পর একই ব্যক্তির যৌন হয়রানীর শিকার আরেক ভুক্তভোগি পুলিশের কাছে মুখ খুলেন।
দুই ভুক্তভোগির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশী তদন্ত এবং আদালতের শোনানি শেষে মোহাম্মদ আবেদিনকে যৌন হয়রানীসহ ভিবিন্ন কারণে ১৪টি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। মোহাম্মদ আবেদিনকে ১৪ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে তাকে ১৩ বছর জেল খাটতে হবে। এছাড়া তালিকাভুক্ত সেক্স অফেন্ডার হিসেবে তাকে বাকী জীবন কাটাতে হবে।
A respected member of Swansea’s Muslim community carried out a sustained and systematic campaign of sexual abuse against two young girls.
Mohammad Abedean drove one of his victims to self-harm and left her feeling “like damaged goods”.
Swansea Crown Court heard the case had caused a division in the local Muslim community between supporters of 62-year-old Abedean and those who sided with his victims.
Abedean, of Page Street in Swansea city centre, was convicted of 14 counts of sexual assault and assault by penetration following a trial.
He was acquitted of one count of rape in respect of one of the same victims.
The years of abuse only came to light when one of the victims ran away from home, leaving a letter behind.
Though the letter did not name her abuser she talked about having to get away from the person who was hurting her before she took her own life.
The letter also said she had not told anyone about what had been happening because she did not feel anyone would believe her or be able to help her.
She also said she had felt unable to go to the police because if the abuse had become known within the community “it would ruin the family, and I cannot do that”.
After her disappearance police did become involved and a second victim was also identified.
Helen Randall, prosecuting, read details of an impact statement from one of Abedean’s victims in which she said the abuse had profoundly affected her and her family, leaving her with difficulties forming relationships and suffering with insomnia, nightmares, and periods of self-harming.
She said the abuse had made her feel dirty in her own skin, and “like damaged goods”, and had resulted in her being shunned by other members of the Muslim community.
The second victim said her experiences at the hands of Abedean had left her fearful of older men and had impacted on her education and jeopardised her career ambitions.
The barrister added that the allegations and resulting convictions had “plainly divided the community”.