রসায়নে নোবেল পেলেন দুই নারী বিজ্ঞানী

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: রসায়নে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফরাসি বিজ্ঞানী ইমানুয়েল কার্পেন্টার ও মার্কিন বিজ্ঞানী জেনিফার ডৌডানা। বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের মহাসচিব গোরান হ্যানসন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন। নোবেলজয়ী এই দুই নারী বিজ্ঞানীর কোনো পুরুষ সহকর্মী ছিল না। এটি ইতিহাসে প্রথম। জিনোম সম্পাদনার পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য তাদেরকে জয়ী করা হয়। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।

নোবেল পুরস্কারের ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার এই দুই বিজ্ঞানী ভাগাভাগি করে নেবেন। তাদের আবিষ্কারের কারণে এখন থেকে যে কোনো প্রাণী, উদ্ভিদ ও অনুজীবের ডিএনএতে পরিবর্তন আনা যাবে এবং এটি হবে প্রায় শতভাগ নির্ভুল। নোবেল কমিটির প্রধান গোরান কে হ্যানসন বলেন, এ বছরের নোবেল পুরস্কার হচ্ছে, নতুন করে জীবনের গঠন নির্ধারণ করা নিয়ে।

এই আবিষ্কারের ফলে উদ্ভিদের প্রজনন, ক্যান্সারের চিকিৎসা ও বংশগত রোগের চিকিৎসার পথ উন্মুক্ত করে দেবে।

২০১৯ সালে লিথিয়াম ব্যাটারি নিয়ে গবেষণা করে রসায়নে নোবেল পেলেছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জন বি গুডএনাফ, বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম স্ট্যানলি এবং মেইজো বিশ্ববিদ্যালয়ের আকিরা ইয়োশিনো। প্রতিবছর বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস বুধবার এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে। এ পর্যন্ত ১৮৩ জনকে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়।

Advertisement