গতকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল রাজধানীর আকাশ। মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও ঝরেছে। কিন্তু আজ সকাল ৬টা থেকে রাজধানীতে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। একটানা চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। ভারী বৃষ্টিপাতে ডুবে যায় রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলি। কোন কোন সড়কে জমে যায় হাঁটু সমান পানি। ডুবন্ত অনেক সড়কে তৈরি হয় তীব্র যানজট। এতে বিপাকে পড়েন রাজধানীর অফিসগামীরা।
অনেকে ভোগান্তি নিয়েই অফিসে যান।
সরজমিনে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানীর গ্রিন রোড, পান্থপথ, ধানমন্ডি, তেজতুরীবাজার, বনানীর কিছু অংশ, মহাখালীর চেয়ারম্যানবাড়ি, মালিবাগ, রামপুরা, চৌধুরীপাড়া, বনশ্রী এলাকায় রাস্তায় পানিতে ডুবে যায়। অনেক সড়কে প্রাইভেট কার ও সিএনজির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী যাত্রীরা। দ্বিগুণ রিকশাভাড়া গুণতে হয় তাদের।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া, ময়মনসিংহে ৪৮ মিলিমিটার, নেত্রকোনায় ৩৬, টাঙ্গাইলে ৩৩, সীতাকুণ্ডতে ২৪, ফরিদপুর ও চট্টগ্রামে ২১ মিলিমিটার, সিলেটে ১৭, ভোলায় ১৬, নিকলীতে ১৩, মাইজদীতে ছয়, শ্রীমঙ্গলে দুই এবং কক্সবাজার, কুতুবদিয়া ও কুমারখালীতে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’
আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত দেশের ১৯টি অঞ্চলের নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আগামী দুদিনে আবহাওয়ার কিছু পরিবর্তন হতে পারে।দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়।