রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন করোনায় পজিটিভ ছিলেন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদের মধ্যে আইসিইউতে মৃত্যু হয় চারজনের। এ নিয়ে চলতি মাসের ২৮ দিনে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩১৫ জন।সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা গত ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময়ে তারা মারা যান।হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর সাতজন, চাঁপাইনবাগঞ্জের পাঁচজন, নাটোরের একজন ও নওগাঁর একজন। এদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও তিনজন নারী। ছয়জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের তিনজন পুরুষ।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৭৮ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৫২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০, নাটোরের আট, নওগাঁর চার, পাবনার দুই ও চুয়াডাঙ্গার দুইজন। একই সময়ে সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৭ জন।হাসপাতালের ৪৮ বেডের আরকটি ওয়ার্ডকে করোনা ইউনিটে যুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে করোনা ইউনিটে বেডের সংখ্যা হল ৪০৫টি। সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪০৫ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৪২ জন। যা আগের দিন ছিল ৪৩৪। অতিরিক্ত রোগিদের মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।চিকিৎসাধীন রোগিদের মধ্যে রাজশাহীর ৩০৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৯ জন, নাটোরের ৩২ জন, নওগাঁর ৩২ জন, পাবনার ১৫ জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, চুয়াডাঙ্গার দু’জন, দিনাজপুরের দু’জন ও ঢাকার একজন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন।এদিকে, রাজশাহীতে আরও কমেছে সংক্রমণ হন। রোববার দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩৫ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ২৪ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশে। যা আগের দিন শনিবার ছিল ২৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার ছিল ৩৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাগঞ্জের ৭৭ নমুনার মধ্যে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ১৪ জনের।ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। শনাক্তের হার ৬০ শতাংশের উপরে উঠলে গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। এরপর দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়ে লকডাউন আগামী ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত করা হয়।