রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে আর সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে আর সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। আমরাও করব না। শুক্রবার মহানগরের সমাবেশ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ গেটে ছিল। তাদেরকে বলে দিয়েছি তারা যেন নাট্যমঞ্চে করে।ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের যৌথ সভার শুরুতে সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা জানান। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভায় পরে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা (বিএনপি) সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে, সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদি শক্তি মাঠে নামিয়েছে।
আগুন সন্ত্রাসে নেমেছে। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা বুধবার কার্যকর করেছে। আগুন সন্ত্রাস, পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু গেছে। আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হচ্ছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যদি জনগণের কথা ভেবে আমাদের সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে বিএনপি কেন অনড় অবস্থানে আছে? বিশৃঙ্খলা করবে, সরকার পতন ঘটাবে ওই সব দুরভিসন্ধি আমরা জেনে গেছি।তিনি বলেন, আমাদের নেতা কর্মীরা আজ থেকে সতর্ক আবস্থানে পাহারায় থকবেন। আক্রমণ আমরা করবো না, আক্রমণকারি হবো না, কিন্তু আক্রমণের উস্কানি দিলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে, যদিও তারা আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে।আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সর্বত্র সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বাংলাদেশের সব জেলা-উপজেলা, মহানগর, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা আজ থেকে সতর্ক পাহারায় থাকবেন। এই বিজয়ের মাসে আমরা দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে তুলে দিতে পারি না। এটা আমাদের শপথ।
তিনি বলেন, অকারণে আক্রমন আমরা করতে যাবো না। আমরা সরকারে আছি, শান্ত থেকে ঠান্ডা মাথায় মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের যেনো কোন দুর্নাম না হয়। আক্রমনকারী হিসেবে শুরু তারা করেছে, আমরাও দেখবো।সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন শফিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক ওয়াসিকা আয়শা খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমানএবং মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী।