ব্রিট বাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ক্যাম্পের সহস্রাধিক ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা পুড়ে গেছে। এছাড়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কয়েক শতাধিক বাড়ীঘর, মসজিদ, বালুখালী বলি বাজারের কয়েকশ দোকান, এমএসএফ হাসপাতালসহ আরও ৫ শতাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে। সোমবার বিকেলে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে বিকাল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ক্যাম্পে আগুন লাগানোর অভিযোগে কয়েকজন রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন (এপিবিএন)।
বিকেল ৪ টার দিকে বালুখালী ৮ নম্বর ইডাব্লিউভিইউ ক্যাম্পে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে পাশের ৯ ও ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর বসতিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮ টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট, রামু সেনানিবাসের টিম, পুলিশ, এপিবিএন এবং স্থানীয়রা একসঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
কুতুপালং ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল উদ্দিন রোহিঙ্গা নেতা ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী মিলে প্রায় ১০,০০০ স্থাপনা পুড়ে গেছে।
বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ তানজীম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আসেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহস্রাধিক ঘর ও স্থাপনা পুড়ে ছাই
Advertisement