অভ্যুত্থানের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান একথা বলেন। অভ্যুত্থানের পরেই সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইং বলেছিলেন, তার দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গুরুত্ব দেবে। ৪ মাস পরেই নিজ অবস্থান থেকে সরে আসলেন তিনি। চীনা টেলিভিশন ফিনিক্স এই সাক্ষাৎকার নেয়।মিন অং হ্লাইংয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ২০১৭ সালের অভিযানে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের আবারও রাখাইন রাজ্যে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের আইনের সঙ্গে যদি সংগতিপূর্ণ না হয়, তাহলে এখানে বিবেচনার কী আছে? আমি মনে করি না পৃথিবীতে কোনো দেশ আছে, যারা নিজেদের শরণার্থী আইনের বাইরে গিয়ে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়।’ এএফপিরোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের কোনো কার্যকারিতা কি নেই, জানতে চাইলে মিন অং হ্লাইং মাথা নাড়ান। তিনি আবারও দাবি করেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা কোনো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয়। তার ভাষ্যমতে, ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতালাভের পরই রোহিঙ্গাদের উত্থান। ইরাবতিহ্লাইং বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা অর্জনের পর আদমশুমারিতে বাঙালি, পাকিস্তানি, চট্টগ্রাম শব্দ নিবন্ধন করা হয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা বলতে কোনো শব্দ ছিল না। তাই আমরা এটি কখনো গ্রহণ করিনি।’ মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে মনে করে। তাদের মতে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে আসা বহিরাগত। যদিও অনেক রোহিঙ্গাই শত বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে।
রোহিঙ্গা বলে কোনও জাতির অস্তিত্বই নেই, তাদের ফেরত আনার প্রশ্নই আসে না: মিয়ানমারের সেনাপ্রধান
Advertisement