লঞ্চে চলাচলে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয় পত্র দেখাতে হবে

এবার ঈদযাত্রায় যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কপি ছাড়া লঞ্চের টিকিট বিক্রি করা হবে না। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ঈদের পাঁচদিন আগে।রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই সমন্বয় করে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা শতভাগ চেষ্টা করবো। আমরা যেমন যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, তেমন যাত্রীদের কাছেও আমাদের আবেদন তারাও যেন নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে। গণমাধ্যমে আমরা নির্দেশনাগুলো প্রচার করে। অপরিকল্পিতভাবে তারা যেন ঈদযাত্রা না করে সেটা আমাদের অনুরোধ থাকবে যাত্রীদের প্রতি।’

তিনি বলেন, ‘লঞ্চ মালিকরা তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করবেন। ত্রুটি-বিচ্যুতি সারিয়ে নিয়ে লঞ্চগুলো ঈদযাত্রায় যুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছেন। আমরা সবচেয়ে সংকটে পড়েছি আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু নিয়ে। ইতোমধ্যে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলে বিধি-নিষেধ আছে। সেই কারণে আমরা অনেক ফেরি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এখন শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাট রুটে ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাত্র ৬টি ফেরি সেখানে চলছে। পদ্মা বহুমুখী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা চেষ্টা করবো এটা ২৪ ঘণ্টা চলাচল করতে পারে। মাঝিকান্দিতে একটি মাত্র ঘাট। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, আগামী ৪ দিনের মধ্যে সেখানে নতুন আরেকটি ঘাট তৈরি হবে। এই রুটে আমাদের ৮৩টি লঞ্চ আছে। সেগুলো যেন ধারাবাহিকভাবে ২৪ ঘণ্টা চলে আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘স্পিড বোট রাতে চলবে না। দিনে বালুবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। লঞ্চের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) কপি দিতে হবে টিকিট সংগ্রহ করার আগে। কেবিনে হোক বা ডেকেই হোক লঞ্চে উঠতে গেলে পরিচয়পত্রে কপি সরবরাহ করতে হবে। তাছাড়া টিকিট দেওয়া সম্ভব হবে না। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে লঞ্চের কেবিনে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো তদন্ত করার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপদে পড়ে যায়। আমরা নিশ্চিত হতে চাই কোন যাত্রী কোন লঞ্চে পারাপার হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্ধারিত যে ভাড়া সেটাই নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কম ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত লঞ্চে তুলে ফেলে, তাতে লঞ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ থেকে জানানো হয়েছে, ২৭ তারিখ থেকে তারা পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবে। যাতে রাস্তা এবং নৌপথে অতিরিক্ত চাপ তৈরি না হয়।

Advertisement