ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ১৪৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইংরেজি ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষার (হিন্দি) সিনেমা ‘বাহুবলী : দ্য বিগিনিং’ প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের বিখ্যাত ‘রয়েল আলবার্ট হল’-এ। এর আগে হলটিতে ইংরেজি ভাষা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষার ছবি কখনো প্রদর্শিত হয়নি।
রয়েল আলবার্ট হল হচ্ছে লন্ডনের একটি বিখ্যাত দাতব্য কনসার্ট হল। ১৮৭১ সালে ইংল্যান্ডের রাণী কুইন ভিক্টোরিয়া এই কনসার্ট হলটি উদ্বোধন করেন। ইংল্যান্ডের সংস্কৃতির অনেক কিছুকে প্রতিনিধিত্ব করে এই হল। প্রতি বছর প্রায় চারশর বেশি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এটি একটি বেসরকারি কনসার্ট হল। হলটিতে পাঁচ হাজার এর বেশি আসন রয়েছে।
২০১৫ সালে ‘বাহুবলী : দ্য বিগিনিং’ সিনেমা মুক্তি পায়। ‘বাহুবলী’ অর্থ শক্তিশালী মানুষ। বাহুবলী ছবিতে অভিনয় করেছেন আনুশকা শেঠী, রানা দাগুবতী, তামান্না ও প্রভাস। বাহুবলী তৈরির আগে ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি ছিল শাহরুখ খানের ‘রা ওয়ান’। রা ওয়ান তৈরিতে ২৭ দশমিক চার মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। যেখানে বাহুবলী তৈরির খরচ ৩৯ মিলিয়ন ডলার।
এক টুইট বার্তায় বাহুবলি এই খবর নিশ্চিত করেছে। সিনেমা প্রদর্শনের সময় সিনেমার কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিল। তারা প্রত্যেকেই প্রথমবারের মতো অন্য ভাষার সিনেমা হিসেবে ‘বাহুবলি: দ্য বিগিনিং’ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ছবিটি সম্পর্কে সিএনএন এক প্রতিবেদনে বাহুবলী সম্পর্কে লিখে যে দারুণ এক চমক উপহার ছিল ভারতের চলচ্চিত্র। তবে সে চমক বলিউড থেকে নয়; এসেছে হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রের ঘাঁটি মুম্বাইয়ের অনেক দূরের এলাকা থেকে। তেলেগু ভাষার চলচ্চিত্র পরিচালক রাজামৌলি বানিয়েছেন বাহুবলী, যাতে স্থানীয় গল্পগাথার সঙ্গে মিশেছে হলিউডের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ।
২০১৫ সালে বাহুবলির একটি পোস্টার ভারতের কেরালায় কোচিতে প্রকাশিত হয়। সিনেমার নির্মাতাদের দাবি, এটিই পৃথিবীর বৃহত্তম চলচ্চিত্রের পোস্টার।
প্রায় ২০০ একর জমির ওপর এ ছবির সেট তৈরি করতে সময় লেগেছে দুইশ দিন। পুরো ছবিটি নির্মিত হয়েছে তিন বছর ধরে। ছবির শুটিং শুধু ভারতের হায়দরাবাদেই নয় ভারতের বাইরে বুলগেরিয়ার পর্বতে, ভারতের মহাবালেশ্বের জঙ্গলেও হয়েছে।