লন্ডনে জিসিএমের বার্ষিক সভার সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিতঃ জিসিএমকে বাংলাদেশ ত্যাগ করার পরামর্শ

আনসার আহমেদ উল্লাহ:তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি যুক্তরাজ্য শাখা, বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ যুক্তরাজ্যের পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন এতে অংশ নেয়।

রাস্তার বিক্ষোভের পাশাপাশি বার্ষিক সভার ভেতরও জিসিএমের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক বাক বিতণ্ডা হয়। ভীত সন্ত্রস্ত জিসিএম একজন প্রক্সি শেয়ার হোলাডারকে সভায় ঢুকতে দেয়নি। বিক্ষোভকরীদের ভয়ে  আগে থেকেই ওয়েস্টমিনিস্টার পুলিশকে দিয়ে ফোনে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে। সমাবেশে ডা. মুখলিছুর রহমান বলেন, ২ লক্ষ মানুষকে বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ ও ১৪ হাজার হেক্টর কৃষিজমি ধ্বংস করার সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়কারী এই কয়লা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। ড. আখতার সোবহান মাসরুর বলেন, বাংলাদেশে জিসিএমের সকল কার্যক্রম বন্দ্ধ ও ফুলবাড়ীতে স্থানীয় আন্দোলনকারীদের নামে  হয়রানিমূলক মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।  মোস্তফা ফারুক বলেন, জিসিএম বাংলাদেশ সরকারের সাথে কোন চুক্তি ছাড়াউ লন্ডন শেয়ার মার্কেটে শেয়ার বিক্রি করছে। তিনি জিসিএমকে একটা অফিস সর্বস্ব একটা প্রতারক কোম্পানি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। নিসার আহমদ বলেন, বাংলাদেশকে কয়লা ত্যাগ করে নবায়নযোগ্য বিকল্প জ্বালানীর কথা ভাবতে হবে। মিরিয়াম রোজ বলেন, জিসিএম বাংলাদেশ ত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা প্রতিবাদ করতে থাকবো।  ড. রুমানা হাশেম ঘোষণা পত্রপাঠে বাংলাদেশে জিসিএমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সমাবেশে লন্ডন মাইনিং নেটওয়ার্ক, ফয়েল ভেডান্ট, রিক্লেইমিং দ্যা পাওয়ার সহ বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়।

সভার ভেতর প্রক্সি শেয়ার হোল্ডাররা প্রশ্ন তোলেন যে,এক যুগে ধরে প্রতিটি বার্ষিক সভায় জিসিএম প্রকল্প পাওয়ার মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে আসলেও এখনও পর্যন্ত কোন অগ্রগতি হয়নি আর পাওয়ার কোন আশাও নেই। তারা জিসিএমকে ফুলবাড়ী প্রকল্প ও বাংলাদেশ ত্যাগ করার পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য যে, গতবছর প্রক্সি শেয়ার হোল্ডারা ফুলবাড়ী প্রকল্পের কোন সম্ভাবনা না থাকায় কোম্পানি কর্মকর্তাদের বেচে থাকার আয় সংস্থানের জন্য সকারের কাছে জব সিকার এলাউন্সের জন্য আবেদনের পরামর্শ দেন। এবারে প্রক্সি শেয়ার হোল্ডার হিসেবে বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে এসব প্রশ্ন উত্থাপন করেন, রিচার্ড সলি, স্যাম স্যান্ডার ও সমরেন্দ্র দাস।

 

 

Advertisement