লন্ডনে- স্টে হোম এন্ড সোসাল ডিস্টেন্স

মো: রেজাউল করিম মৃধা।। করোনাভাইরাস নামক মহামারি থেকে বাঁচার জন্য বৃটিশ সরকার সমগ্র ইউকে সরাসরি লকডাউন না করলেও সরকার সবাইকে ঘরে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সবাই সরকারের ঘোষনাকে শ্রদ্ধার সাথে মেনে চলছে। তবে প্রথমসারির কর্মজীবি এবং এনএইচএস ও কেয়ার ওয়ারকাররা কাজ করে যাবেন। এছাড়া ফার্মেসি, সুপার মার্কেটসহ খাদ্য সামগ্রী, বিক্রয়কেন্দ্র গুলি খোলা থাকে। খোলা আছে ব্যাংক, পোস্ট অফিস, হাসপাতাল ।
তবে যেখানেই যান দীর্ঘ লাইন। সবাই প্রায় দুই মিটার দূরুত্ব বজায় রাখছেন, অতি গুরুত্বের সাথে। কাউকে কিছুই বলতে হয় না একজন দাঁড়িয়েছেন তো তার পিছনে আর একজন এসে দাঁড়িয়েছে । কিছু কিছু সুপার মার্কেটের সামনে সিকিউরিটি থাকলেও অনেক মার্কেটের সামনে কেউ নেই তারপরও কেউ যেন কাউকে ওভার টেক করছেন না। কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন না। সবাই যেন যার যার অবস্থান থেকে একে অপরের সহযোগিতা করছেন। এখানে সাদা কাল, ধনী, গরীব, রাজা-বাদশা, কাউন্সিলর, মেয়র, এমপি মন্ত্রী কেউ নেই সবাই সমান। যে আগে এসেছেন তিনিই রাজা। তার মত করে বাজার সদাই করছেন। অথবা ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছেন ।
অবশ্য একই সাথে এক আইটেম দুইটার বেশী কিনতে পারবেন না। দুই জনের বেশী এক সাথে বের হতে পারবেন না। এক গাড়ীতে দুইজনের বেশী এবং পুলিশের কাছে ঘর থেকে বের হওয়ার সুনির্দিস্ট কারণ দেখাতে না পারলে জরিমানা আছে। তাই সবাই সাবধান হয়ে চলছেন।
দিনে একবার এক্সারসাইজের জন্যও বের হতে পারবেন কিন্তু সাবধান দুজনের বেশী এক সাথে নয়।সেই সাথে দুই মিটার দূরুত্ব তো অবশ্যই। রাস্তা ঘাট একেবারেই ফাঁকা। গাড়ী একেবারেই কম বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। পাবলিক ট্রাস্পোর্ট একেবারে হাল্কা শুধু মাত্র কী ওয়ারকারাই চলাফেরা করেন। আর এই কী ওয়ারকারা হলেন, ডাক্তার, নার্স, কেয়ারার, ব্যাংক কর্মকর্তা ,কর্মচারী, সুপার মার্কেট কর্মী, সাংবাদিক সহ যারা এ দুর্যোগ মূহুর্তে বিশেষ কাজ করে থাকেন।
যে কথা বলছিলাম। বিশেষ প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া এবং দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সামগ্রী কেনা অথবা ব্যাংকে লেনদেন করা। আজ সকালে বেশ ঠান্ডা এবং গুরিগুরি বৃস্টি এর মধ্যে ও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের বাজার সদাই করা বা ব্যাংকের কাজ করছেন সকলে কিন্তু কারও কোন অভিযোগ নেই নেই তাড়াহুড়া।
নিজে বেঁচে থাকা এবং পরিবার পরজনকে সুস্থ্য রাখাই এখন সকলের কম্য। হাতে গ্লাব্স, মুখে মাস্ক এখন এক নতুন পোষাক। এটা ছাড়া এখন বড় বেমানান। সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকাই এখন বড় চ্যালেনজ।
করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত উইকেতে মারা গেছেন ১৪০৮ জন। আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজতে রাখুন, সুস্থ্য রাখুন। আসুন আমরা সবাই সবার জন্য দোওয়া করি। আমিন।

Advertisement