লা লিগার শিরোপা জিতলো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ

লা লিগায় শেষ ম্যাচ জিতলেই আতলেতিকো মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন হবে। পয়েন্ট হারালে তখন রিয়াল মাদ্রিদের সামনে সুযোগ চলে আসবে। কিন্তু আতলেতিকোর বড় তারকা লুইস সুয়ারেজ কোনও হিসেব-নিকেষের ধার ধারেননি। উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের জয়সূচক গোলে আতলেতিকো ২-১ গোলে ভায়াদোলিদকে হারিয়ে ২০১৩-২০১৪ মৌসুমের পর শিরোপার দেখা পেলো। এ নিয়ে আতলেতিকোর ১১তম শিরোপা। একই সময়ে হওয়া ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ লুকা মদরিচের শেষ মুহুর্তের গোলে ২-১ গোলে ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে রানার্সআপ হয়েছে। আর বার্সেলোনা ১-০ গোলে এইবারকে হারিয়ে হয়েছে তৃতীয়।আতলেতিকো ৩৮ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।রানার্সআপ রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করেছে। আর বার্সেলোনা ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়।

আতলেতিকো মাদ্রিদ বনাম ভায়াদোলিদ

৫৯ ভাগ বল দখলে রেখে প্রথমার্ধে আতলেতিকো শুরুতে অবশ্য পিছিয়ে পড়ে।১৮ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে সতীর্থের পাস ধরে ওস্কার প্লানো বক্সে ঢুকে নিঁখুত ভাবে বল জড়িয়ে দেন জালে। এগিয়ে যায় ভায়োদালিদ। ২৬ মিনিটে ভায়োদালিদের আত্মঘাতি গোল প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন শেষ মুহুর্তে। বিরতির পর আতলেতিকো ঘুরে দাড়ায়।৫৭ মিনিটে অ্যান্জেল কোরেরার লক্ষ্যভেদী গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে।৬৭ মিনিটে সুয়ারেজ দলের ট্রফি নিশ্চিত করেন। সতীর্থের পাসে গোলকিপারকে একা পেয়ে সুয়ারেজ গোল করতে কোনও দ্বিধা করেননি। আর এতেই অনেক দিন পর দলের শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে।

রিয়াল মাদ্রিদ-ভিয়ারিয়াল

নিজেদের মাঠে রিয়ালকে বেশ ভালোই ভুগিয়েছে ভিয়ারিয়াল। প্রথমার্ধে তো দুই দল বল দখলে প্রায় সমানে সমান। বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে উঠে ২০ মিনিটে ভিয়ারিয়াল এগিয়ে যায়। গেরার্ড মরেনোর পাস থেকে ইয়েরেমি পিনো লক্ষ্যভেদ করেন। রিয়ালের ম্যাচে ফিরতে সময় লেগেছে।৪৫ মিনিটে কাসেমিরোর হেড গোলকিপারের তালুবন্দী করেন। ৫৩ মিনিটে ভিনিসুয়াসের হেড কাজে লাগেনি। ৫৫ মিনিটে বেনজেমা হেডে বল জালে জড়ালেও ভিএআর দেখে পরবর্তিতে গোল বাতিল হয়েছে।শেষের দিকে এসেছে দুটি গোল। ৮৭ মিনিটে বেনজেমা অবশেষে ১-১ করেন। আর ইনজুরি সময়ের বেনজেমার ক্রসেই লুকা মদরিচ গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করলেও ট্রফি যে ছোঁয়া হয়নি।এই মৌসুমে খালি হাতেই থাকতে হচ্ছে তাদের।অন্য ম্যাচে গ্রিজমানের গোলে জয় দিয়ে লিগ শেষ করেছে বার্সেলোনা।

Advertisement