ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ক্যামিকেল বিস্ফোরণ নিয়ে উত্তাল হয়ে আছে লেবাননের রাজধানী বৈরুত। গত শনিবার এক দল বিক্ষোভকারী দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ করে এবং এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েন করে দেশটির সরকার। সেনা অভিযানের এক পর্যায়ে কোনো হতাহত ছাড়াই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হয়। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
এর আগে বিক্ষোভকারীরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একে নতুন বিপ্লবের সদর দপ্তর ঘোষণা করে। তবে তিন ঘন্টার মাথায়ই সেনা অভিযানের মুখে এর নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে বাধ্য হন তারা। গত সপ্তাহে বৈরুতের একটি বন্দরে কয়েক বছর ধরে জমা করে রাখা ক্যামিকেল বিস্ফোরণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এতে প্রাণ হারিয়েছেন এখন পর্যন্ত ১৫৮ জন। নিখোঁজ রয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি। অপরদিকে আহত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ। এছাড়া, বিস্ফোরণের প্রভাবে নিজের থাকার জায়গা হারিয়েছেন বহু মানুষ। সাময়িকভাবে গৃহহীন হয়ে পরেছেন লক্ষাধিক লেবানিজ। বিস্ফোরণের পরপরই তাদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে।
বিক্ষোভকারীরা গত মঙ্গলবারের ওই ঘটনার জন্য দেশটির রাজনীতিবিদদের দায়ি করেন। বিক্ষোভ থামাতে গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে সেখানে। দ্রুতই দেশের সংকট কাটিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ থামছে না। বৈরুতের রাস্তাঘাট ও প্রধান চত্বরগুলোতে জড়ো হচ্ছেন বিক্ষুব্ধরা। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন তারা। ব্যংকসহ সরকারি কার্যালয়গুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। এরই এক পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দখলের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য আহত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে লেবানন পুলিশ। তিনি দেশটির ইন্টারনাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্য ছিলেন। আহতের ঘটনা ঘটেছে বিক্ষুব্ধদের মধ্যেও। আল-জাজিরা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭শ বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।