লোকসভা থেকে কংগ্রেসের ওয়াকআউট

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: তিন দশকের বেশি সময় ধরে থাকা গান্ধী পরিবারের সদস্যদের তথা কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের এসপিজি নিরাপত্তা সম্প্রতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড লোকসভায়।

শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে জবাব চায় বিরোধীরা। এদিন লোকসভায় ছিলেন না মোদি।

বিরোধীদের প্রবল স্লোগানের মাঝে কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান অমিত শাহ। পরপরই ওয়াকআউট করে কংগ্রেস। খবর এনডিটিভির।

সোমবার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাট্টা হন বিরোধীরা। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংসদে সিনিয়র নেতাদের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে সোচ্চার হয় কংগ্রেস।

চলতি মাসেই বিজেপি সরকার জানায়, এবার থেকে এসপিজির বদলে জেড প্লাস নিরাপত্তা পাবেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াংকা। বিরোধীরা তখনই প্রশ্ন তোলে, পরিবারের দু’জন সদস্য সন্ত্রাসবাদীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।

কিভাবে সেই পরিবেরের নিরাপত্তা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার। এদিন অধিবেশন চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে শুরুতেই সরব হয় কংগ্রেস। লোকসভায় ওয়েলে নেমে লোকসভায় স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা।

স্পিকার ওম বিড়লা তাদের বারবার জায়গায় ফিরে যেতে অনুরোধ করলেও তাতে কাজ হয়নি। ওম বিড়লা বলেন, ‘নিুকক্ষে আজ কৃষকদের বিষয়ে কথা হবে এমনটা পূর্বনির্ধারিত ছিল।

এত গুরত্বপূর্ণ বিষয়টি থেকে দৃষ্টি সরানো ঠিক নয়।’ এরপর কংগ্রেস নেতারা ওয়াকআউট করেন।

১৯৮৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পরের বছরই প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মন্ত্রিসভা সচিবের নির্দেশে বিশেষ বাহিনী ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ (এসপিজি) গঠিত হয়।

পরে ১৯৮৮ সালের ২ জুন সংসদে ‘এসপিজি বিল’ পাস হয়। বর্তমানে ওই বাহিনীতে রয়েছেন তিন হাজারের বেশি সদস্য। নিরাপত্তা নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ বিশ্বের প্রথম সারির বলে ধরা হয়।

জেএনইউ বিক্ষোভের জেরে উত্তাল রাজ্যসভা, মুলতবি অধিবেশন

হোস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে উত্তাল ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)। উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের সেই ঢেউ নয়াদিল্লির রাজপথ পেরিয়ে আছড়ে পড়ে দেশটির পার্লামেন্টেও।

প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ বিরোধীদের বিক্ষোভে মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয় রাজ্যসভার অধিবেশন।

২৬৭ নম্বর ধারায় সিপিআই নেতা বিনয় বিশ্বনের আনা সভার কাজ স্থগিত রাখার প্রস্তাব চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু খারিজ করার পরে অধিবেশন মুলতবি রাখার ঘোষণা করা হয়। অধিবেশন মুলতবি হওয়ায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

Advertisement