ব্রিটবাংলা ডেস্ক : লন্ডন এবং লন্ডনের বাইরে বেশ কয়েকটি ফুটবল স্টেডিয়াম শনিবার পপ-আপ ভ্যাকসিন সেন্টারে রূপান্তরিত হয়েছিল। তাতে ইংল্যান্ডের ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী বিপুল সংখ্যক নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। লন্ডন অলিম্পিক পার্ক, চেলসি ফুটবল স্টেডিয়াম, টটেনহ্যাম ফুটবল স্টেডিয়ামসহ বেশ কয়েকটি ফুটবল স্টেডিয়াম এবং ছোট্ট ছোট্ট হলে পপ-আপ ভ্যাকসিন সেন্টার খোলা হয়েছিল।
ভ্যাকসনি গ্রহণকারীদের বেশি ভীড় ছিল লন্ডন অলিম্পিক পার্কে। এখানে ভ্যাকসিনের জন্যে ১০ হাজার আগাম বুকিং ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। লন্ডনের বাইরে ম্যানচেস্টার রয়েল ইনফরমারি পপ আপ সেন্টারসহ উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডে অন্তত ৩০টি সেন্টারে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। পুরো ব্রিটেনের মধ্যে এই এলাকায় ডেল্টা সবচাইতে বেশি সংক্রমিত হয়েছে।
শনিবার ইংল্যান্ডের এসব পপ আপ সেন্টারগুলোতে সবাই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ রাতারাতি করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকাতে সমর্থ না হলেও অন্তত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে এর কার্যকারিতা দেখতে। আর এতে আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
লন্ডনে ফুটবল স্টেডিয়ামগুলো ছাড়াও ছোট আকারে বিভিন্ন হলে পপআপ সেন্টারে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। টাওয়ার হ্যামলেটসের একটি সেন্টারে আনডকুমেন্টেড অভিবাসীদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়।
আগামী ১৯শে জুলাইয়ের ভেতরে ব্রিটেনের সব প্রাপ্ত বয়স্কদের করোনা ভ্যাকসিনের অন্তত প্রথম ডোজ দিতে চায় সরকার। এই লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহেও স্টেডিয়ামগুলোতে এধরনের বিশাল পপআপ ভ্যাকসিন সেন্টার বহাল থাকবে।
এদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় ব্রিটেনে নতুন করে আরো ১০ হাজার ৩ শ ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরো ১৪ জনের। অন্যদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় দু লাখ ১৮ হাজার ৬শ ৩৬ জন করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে ব্রিটেনে করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৪২ দশমিক ৬ মিলিয়নে। অন্যদিতে গত চব্বিশ ঘন্টায় ১ লাখ ৮৮ হাজার আট’শ ৫৮ জন করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে। এ নিয়ে ব্রিটেনে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীর তালিকা ৩১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেল। অর্থাৎ এ পর্যন্ত ব্রিটেনের ৫৯ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন।