শেষ সময়ে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট

পবিত্র ঈদ-উল আযহা। ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষিতে জমজমাট কোরবানির পশুর হাটগুলো।দেশি পশুতে ভরপুর যশোরের শার্শার ‘সাতমাইল পশুহাট’। ভারতীয় গরু না আসায় খামারিরা আর দেশি গরু কিনে খুশি ক্রেতারা।”ইন্ডিয়ান গরু আসেনাই দেখে লাভ আছে” বললেন এক খামারী।একজন বিক্রেতা আবার বললেন, ”ক্রেতারা অনেক কম দাম বলছে।”জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু থাকার কথা জানালো প্রাণিসম্পদ অফিস এবং ইজারাদাররা।শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, “এই উপজেলায় চাহিদা নয় হাজার, বাকি পশু অন্য উপজেলায় বিক্রি করা েহচ্ছে।”জমে উঠেছে নীলফামারীর ২৮টি পশুর হাটও। পশুকে সেবা দিচ্ছে মেডিকেল টিম। টাকা লেনদেনে সহায়তা করছে ব্যাংকগুলো।ফেনীতে জমজমাট ১২৮টি হাট। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ।বাহারি রং ও আকারের গরুতে ভরপুর কুষ্টিয়ার হাটগুলো। পর্যাপ্ত গরু এলেও বাজার বেশ চড়া- বলছেন ক্রেতারা। সারা বছরের খরচের তুলনায় দাম না পাওয়ার কথা জানান বিক্রেতারা।“গরুর খাবারের যে দাম তাতে খামারীদের লস হবে।” বলেন একজন বিক্রেতা।”আরেক খামারী বলেন, “দুই খাসিতে দিনে চারশ থেকে পাঁচশ টাকার খাবার খায়, তাহলে কেমনে পোষাবে!”নেত্রকণায় নব্বইটির মধ্যে বেশি জমেছে বৃহত্তম হাট নৈহাটী।ক্রেতাদের পদচারণায় সরব পঞ্চগড়ের হাটগুলো। দাম বেশি চাওয়ার অভিযোগ করেছেন পঞ্চগড়ের ক্রেতারা।দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজশাহীর বিখ্যাত তাহেরপুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারাও।রাজশাহীতে এবার চাহিদার দ্বিগুণ পশু লালন-পালনের কথা জানান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।জমজমাট চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ এবং খাগড়াছড়ির পশুর হাটগুলোও।চাঁদরাত পর্যন্ত পশুর হাটগুলো চলবে বলেও জানান ইজারাদাররা।

Advertisement