শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র করে পর্তুগালও শেষ ষোলোয়

পাল্টা-পাল্টি আক্রমণে ম্যাচ বেশ জমে ওঠে। কেউ কাউকে নাহি ছাড়ি অবস্থা। ক্ষণে ক্ষণে ম্যাচের গতি-প্রকৃতি পাল্টাতে লাগলো। ম্যাচে গোলও হলো চারটি। কিন্তু কোনও দলই তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলো না। ফ্রান্স ও পর্তুগালের মধ্যেকার শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটি শেষ হলো ২-২ গোলে ড্র দিয়ে। চার গোলের ম্যাচে রোমাঞ্চও কম ছড়ায়নি। তিনটি গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে। এর মধ্যে রোনালদো দুটি গোল করে তো নতুন বিশ্ব রেকর্ডই গড়েছেন!

এমনিতে ‘এফ’ গ্রুপকে মৃত্যুকূপ বলা হয়েছে। এই ম্যাচ ড্রতে ফ্রান্স তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পর্তুগাল চার পয়েন্ট পেয়েছে। সেরা তৃতীয় গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নক আউটে পর্বে তারা। আর জার্মানি সমান পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে খেলবে শেষ ষোলোতে।বুদাপেস্টের পুসকাস এরিনাতে বলের পজেসনে দুই দলই প্রায় সমানে সমান। আক্রমণেও তাই। ম্যাচে প্রথম আক্রমণটি পর্তুগালেরই। ৬ মিনিটে রোনালদোর হেড গোলকিপার তালুবন্দি করেন।১৬ মিনিটে ফ্রান্সের আক্রমণ। পগবার পাস থেকে এমবাপ্পের জোরালো শট গোলকিপার প্রতিহত করেন।২৭ মিনিটে প্রথম লক্ষ্যভেদ করে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। পেনাল্টি থেকে। ফ্রি-কিকের বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে গোলকিপার লরিস আঘাত করে বসেন দেনিলোকে। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি। সঙ্গে গোলকিপারকে হলুদ কার্ডও দেখিয়েছেন। পেনাল্টি থেকে রোনালদো গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন।রোনালদো প্রথম ইউরোপিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ডও গড়লেন। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে এককভাবে ২০টি গোল তার ঝুলিতে। যা আগে ছিল জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজার ১৯টি। এছাড়া ইউরোতে এককভাবে ১৪টি গোল তার।ইনজুরি সময়ে ফ্রান্স ম্যাচে সমতা আনে। এমবাপ্পেকে ফেলে দেন সেমেদো। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি দেন। ভিএআর দেখেও নিশ্চিত হন। বেনজেমা পেনাল্টি থেকে গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে সমর্কথদের মনে স্বস্তি এনে দেনে। ইউরোতে এটাই তার প্রথম গোল।

বিরতির পর এগিয়ে যেতে সময় লাগেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের।৪৭ মিনিটে সতীর্থের থ্রু ধরে বেনজেমা বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন। বল পোস্টে লেগে জাল কাঁপায়।৪৯ মিনিটে রোনালদোর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট।৫৯ মিনিটে পর্তুগাল ম্যাচে আবারও সমতা ফিরিয়ে আনে। রোনালদোর শট ডিফেন্ডার কন্দের হাতে লাগে। পেনাল্টির বাঁশি বেজে উঠে। পেনাল্টি থেকে রোনালদো গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর গোল হলো ১০৯টি। এই তারকা ছুঁয়েছেন ইরানের আলী দাইকে। এখন যৌথভাবে এই দুজন সর্বোচ্চ গোলদাতা।২-২ এ স্কোরলাইন থাকার পর ফ্রান্স এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু ৬৭ মিনিটে পল পগবার শট হাত দিয়ে রুখে দেওয়ার পর বল পোস্টে লেগে আসলে গোল পাওয়া হয়নি দিদিয়ের দেশমের দলের।

Advertisement