ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: নিজের পারিবারিক কলহে শ্যালিকা ও তার স্বামীর হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি আব্বাস। ছোট শ্যালিকা ও ভায়রার ভরসায় স্ত্রী ইয়াছমিন আব্বাসের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণেই শ্যালিকাকে শায়েস্তা করতে হত্যার পরিকল্পনা করে আব্বাস।
শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেনের আদালতে শ্যালিকা ও তার দুই শিশুকন্যাকে হত্যার দায় স্বীকার করে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা জানায় আব্বাস। আব্বাস জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর সিদ্ধিরগঞ্জে সিআইখোলা এলাকায় শ্যালিকা নাজনীনের ভাড়া বাসায় যায় সে। বাসা থেকে সঙ্গে ছোরাও নেয়। সেখানে গিয়ে প্রথমে নাজনীনকে এবং পরে তার দুই শিশুকন্যাকে গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় তার প্রতিবন্ধী মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে বিরক্ত হয়ে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় আব্বাস।
এদিকে দুই শিশুসন্তানসহ নিহত গৃহবধূ নাজনীন আক্তারকে চোখের জলে বিদায় দিয়েছেন পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। শুক্রবার দুপুরে নিহতদের ময়নাতদন্তের পর লাশ সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে বাদ আসর জানাজা শেষে আদমজী কবরস্থানে পাশাপাশি মা ও দুই মেয়েকে দাফন করা হয়। স্ত্রী ও আদরের দুই মেয়েকে হারিয়ে আবদুস সোবহান সুমন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ নিহত নাজনীনের স্বামী সুমন বাদী হয়ে ভায়রা আব্বাসকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক বলেন, ঘাতক আব্বাস শুক্রবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত নেই।
বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জে সিআইখোলা এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ নাজনীন আক্তার এবং তার দুই শিশুকন্যা নুসরাত জাহান নিজু (৬) ও খাদিজার (২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরের কমিউনিটি সেন্টার থেকে অভিযুক্ত আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।