“সংগীত, সংস্কৃতি হোক ভাষা শিক্ষার অন্যতম উপকরণ”

Bengali Language and Cultural School (BLCS), Melbourne এর শিক্ষক – শিক্ষার্থী আর অবিভাবকদের এক বর্ণাঢ্য মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হল। যারা BLCS সম্পর্কে জানেন না তাদের অবগতির জন্য বলছি, এই স্কুলটি ১৯৮৪ সালে তার যাত্র শুরু করে । ২০০২ সালে স্কুলটিকে ওয়েস্টল সেকেন্ডারি কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ড: আব্দুল্লা আজাদ এই স্কুলের প্রতিষ্টাতা প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার CSIRO র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: নওশাদ হক এই স্কুলের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন । স্কুলটি মেলবোর্ন প্রবাসী বাঙ্গালীদের এবং ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রস্থল। অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তূ ছিল ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের কাছে জাতীয় কবি নুজরুল ইসলাম এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর গান কবিতা এগুলো পরিচয় করিয়ে দেয়া।

প্রায় দুইঘন্টা ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর কবিতা, একক ও দলীয় গান এবং একক ও দলীয় নাচ পরিবেশন করে সবাইকে বিমোহিত করে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে স্কুলের সুচনা ও রচিতা। স্কুলের ৩ বছরের বয়সী ক্ষুদে শিক্ষার্থী সামিহা “ফুলে ফুলে” গান পরিবেশনা করে এবং একই গানের সাথে নাচ পরিবেশনা করে আগত সবাইকে বিস্মিত করে। অনুষ্ঠানের আরো উল্লেখযোগ্য পরিবেশনার মধ্যে ছিল নোমানের স্কুল পরিচয় করিয়ে দিয়ে এবং বাংলা বইয়ের পাঠাগার স্থাপন করার অনুরোধ, রাইসার “হা রে রে রে আমায় ছেড়ে দেরে ” ওহী মিহির দৈত কণ্ঠের প্রজাপতি প্রজাপতি, জারিফ এর “কাঠবিড়ালি” কবিতা আর রোহানের “আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায়” ছিল উল্লেখযোগ্য। মারিনা, মাইশা, রচিতা’ র “আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে” গানটির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

পরিবেশনা শেষে স্কুলের প্রেসিডেন্ট নওশাদ হক সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিভিন্ন অবদানের জন্য বিভিন্ন জনকে গিফট কার্ড এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠান অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্রও বিতরণ করা হয়। সর্বশেষে সবাইকে বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানটি শিক্ষক – শিক্ষার্থী আর অবিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দোম ও অনুপ্রেনার সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিনোদিত হবার পাশাপাশি বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী হয়েছে বলে অনেকে শিক্ষক – শিক্ষার্থী আর অবিভাবকরা মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি ঘিরে মেলবোর্নের বাংলায় কমিউনিটি তে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথি প্রবীণ কামরুল ইসলাম এবং মাহবুব চোধুরী সুন্দর অনুষ্ঠান করার জন্য অভিনন্দন জানান । এসময় তারা জানান একসময় ভিক্টোরিয়াতে VCE পরীক্ষায় বাংলা বিষয় চালু ছিল। বছর দশেক আগে বাংলাদেশের ও ভারতীয় বাংগালিরা এটা চালু করতে পেরেছিলেন। সময়ের সাথে সাথে যথেষ্ঠ শিক্ষার্থী না পাওয়ায় বাংলা বিষয়টি VCE থেকে বাতিল হয়ে যায় । তারা মনে করেন চেষ্টা করলে হয়তো VCE পরীক্ষায় বাংলা বিষয় আবারো চালু করা যাবে। তারা শীঘ্রই আলোচনায় বসবেন বলে জানান।

অনুঠানে আগত অনেকেই বাংলা বই সম্বলিত পাঠাগার স্থাপন করার বিষয়ে একমত প্রকাশ এবং প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। এ ব্যাপারে ক্যানবেরার বাংলাদেশ দূতাবাস, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি এবং স্থানীয় দানশীল বাংলাদেশী কমিউনিটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মতামত দেন । প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Advertisement