ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ক্রিকেটারদের চলমান সংকটের নিরসন হয়েছে। খেলায় ফেরার কথা জানিয়েছেন খেলোয়াড়রা। আর তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বোর্ড। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় দুই পক্ষের সমঝোতা হয়।
এর পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সাকিব-তামিমরা। ১ ঘণ্টা ধরে চলে সেই সভা। কিন্তু কেন? এরই মধ্যে জবাব পাওয়া গেছে। গেল তিনদিনে ১৩টি দাবি উত্থাপন করেন ক্রিকেটাররা। সেগুলো যেন ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয়, সেজন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন তারা। আন্দোলনে দারুণ ঐক্যবদ্ধ দেখা গেছে টাইগারদের। তাদের আলোচনার মূখ্য বিষয় ছিল,ভবিষ্যতেও যেন সেটা বজায় থাকে।
বিসিবির সঙ্গে বৈঠকে আসেন ১০০ ক্রিকেটার। তাদের সামনে দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। সেগুলো বাস্তবায়ন আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে শংকা বিরাজ করে। সে শংকা দূর করতে সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে আলোচনা করেন ঘরোয়া ক্রিকেটাররা।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সবসময় কাছে পাবে বিসিবি। স্বাভাবিকভাবেই প্রভাবিত হতে পারেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। এমনটা হলে বিপদে পড়বেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি ১ লাখ টাকা করার দাবি করেন তারা। পাশাপাশি মাসিক বেতন ৫০ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলেন। স্বভাবতই বড় ভাইরা প্রভাবিত হলে এর বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়বে। তারা যেন কোনোভাবে প্রভাবিত না হন, সেই নিশ্চয়তা পেতে তাদের সঙ্গে বসেন ছোট ভাইরা।
প্রসঙ্গত,দুই পক্ষের বৈঠকের পর সাকিবদের মুখে ছিল হাসি। তবে বিমর্ষ দেখা যায় স্থানীয় ক্রিকেটারদের। তাদের পারিশ্রমিক বাড়ানো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সাকিবও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ফলে তরুণ উঠতি ক্রিকেটার নিয়ে বৈঠক করেন তারা।