প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বিগত ৫ বছর সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ থেকে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি।তিনি বলেন, ‘সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের উপর যে দায়িত্ব ছিল, কঠোর পরিশ্রম করে সেই দায়িত্ব পালন করেছি।আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের লেকভিউ চত্বরে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।আত্মীয়-স্বজন বা সিভিল সোসাইটিতে গেলে কোনও কারণে বিব্রতবোধ করবেন কি না? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘মোটেও না। নির্বাচনে আইনকানুন ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির কোনও অভাব রাখিনি। আমরা নিরপেক্ষ থেকে কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কাজেই কোনও বিব্রতবোধ নেই, কোনও দুর্বলতা নেই। কোনোরকম ঘাটতি নেই।
তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ থেকে আইনানুগভাবে সব নির্বাচন শেষ করেছি। রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে এসেছে, সবাইকে সময় দিয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে তারা নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচন করবে না, তাই সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারিনি, আস্থা অর্জন করতে পারিনি।ইসির দুর্নীতি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। অডিট আপত্তির বিষয় এসেছে। দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ভুলে বা নিয়মকানুনের ভুল ব্যাখ্যায় কিংবা ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছকৃত কারণে শতশত কোটি টাকার অডিট আপত্তি আছে। সেগুলো আবার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। এক্ষেত্রে কেউ দায়ী হলে ব্যবস্থা হয়। অতিরিক্ত খরচ হলে ফেরত দিতে হয়। আমাদের যেসব অডিট আপত্তি হয়েছিল তার কিছুটা নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকিটা এখনও হয়নি।সিইসি জানান, আমরা ৬ হাজার ৬৯০টি নির্বাচন করেছি। রুটিন কাজের বাইরেও অনেক কাজ করেছি। আইন সংস্কারের বেশ কিছু কাজ করেছি। আরপিওসহ বাংলায় রূপান্তরসহ অনেকগুলো বিধিমালা করেছি। ২৪ হাজার ৮৮১ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। বিশেষ করে ইভিএমে। করোনার কারণে সীমানা পুননির্ধারণ করতে পারিনি।সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম বক্তব্য রাখেন। এ সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জমান উপস্থিত ছিলেন।