ব্রিট বাংলা ডেস্ক : লাইভে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও কয়েকজন কর্মকর্তার বিষয়ে সাকিব আল হাসানের করা মন্তব্যে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
বিসিবির দুই পরিচালক আকরাম খান ও নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করেন একসময়ের বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার ।
সাকিবের মতে, গত ৪-৫ বছরে বিসিবির হাইপারফরম্যান্স দল (এইচপি টিম) থেকে জাতীয় দলে কোনো ক্রিকেটার উঠে আসেনি।
সাকিবের এমন মন্তব্যে যারপরনাই বিস্মিত নাঈমুর রহমান দুর্জয়। সাকিবের কাছে থেকে এমন মন্তব্য অপ্রত্যাশিত বলেও জানান দুর্জয়।
রোববার বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবনে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় দুর্জয় বলেন, ‘সাকিবের এই মন্তব্য আমার জন্য যেমন অপ্রত্যাশিত, আমার মনে হয় আপনাদের জন্যও তেমনই অপ্রত্যাশিত। কারণ আপনারা সবাই জানেন— ৪-৫ বছর আগে এইচপি কোথায় ছিল আর এখন কোথায়! আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এখন জাতীয় দলে খেলছে এবং পারফরম করছে। তারা সবাই এইচপি হয়েই এসেছে। সেটি কিন্তু আসলে একেবারেই খোলা একটা চিত্র। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ড উলভসকে সিরিজ জিততে দেয়নি আমাদের এইপির খেলোয়াড়রা।’
এসব কথার পক্ষে বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘২০১৭-১৮-তে সাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলি রাব্বি, মেহেদি হাসান মিরাজসহ ১৪ জন, ২০১৮-১৯-এ সাঈফ হাসান, আফিফ হোসেন, নাঈম শেখ, সাঈফউদ্দিনসহ ১১ জন, ২০১৯-২০-এ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, হাসান মাহমুদসহ ৮ জন এবং ২০২০-২১-এ শরিফুল ইসলামসহ চারজন জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে। তারা সবাই এইচপির। এতগুলো ক্রিকেটার যেখানে এইচপি খেলে এসেছে, সেখানে এইচপির কার্যকারিতা নিয়ে কী করে এসব বলেছে সে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত শনিবার রাতে ক্রিকফ্রেঞ্জির ফেসবুক লাইভে এইচপির সমালোচনা করে সাকিব বলেছিলেন— ‘শেষ ৪-৫ বছরে এইচপি থেকে কয়টা ক্রিকেটার তৈরি হয়েছে তা আমার জানা নেই। এইচপি বা একাডেমি এই জায়গাগুলোতে কী কাজটা করেছে গত ৪-৫ বছরে? যদি চেষ্টা করত তা হলে তো খেলোয়াড় থাকত।’