সিলেট অফিস :: শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আসাদ উদ্দিন আহমদ। দুজনই একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা। ছাত্ররাজীতি থেকে উঠে আসা শফিক ও আসাদ কাঁধে নিয়েছিলেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। ২০১১ সালের নভেম্বরে গঠিত কমিটিতে শফিক হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর আসাদ হয়েছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এরপর গত ৮ বছরে সংগঠনকে পরিচালনার পাশাপাশি দলের সিদ্ধান্ত মেনে বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন দুজনই। কিন্তু গতকাল সিলেটে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সেই ত্যাগের মূল্যায়ন পাননি শফিক-আসাদ। তাদের দুজনের পরিবর্তে সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছে দুই নতুন মুখ।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে বিএনপির প্রভাবশালী প্রার্থী ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সাংসদ হয়েছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। এরপর ২০১১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে একা কাঁধেই তুলে নেন দায়িত্ব। সিলেটজুড়ে দলীয় কর্মসূচি পালন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সক্রিয় ও সংগঠিত রাখা, বিপদে-আপদে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো সবক্ষেত্রেই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন শফিক। এছাড়া দলের যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবার অগ্রভাগে থাকতেন তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েও তিনি দলের নির্দেশে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেন নিজের আসন। এরপর আরো মনোনিবেশ করেন রাজনীতিতে। পুরো সময় রাজনীতিতে ব্যয় করে ‘২৪ ঘন্টার রাজনীতিবিদ’ হিসেবে খ্যাতি পান সিলেটে। কিন্তু এবারের সম্মেলনে নেতৃত্ব থেকে ছিটকে গেলেন তিনি।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। বিগত সিটি নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে তিনি চষে বেড়ান পুরোনগরী। ক্লিন ইমেজের অধিকারী এই নেতা দলের বাইরে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান নির্বাচন থেকে। কাজ করেন দলীয় প্রার্থী কামরানের পক্ষে।
তাদের এই ত্যাগ ও অবদানের যথার্থ মূল্যায়ন এবারের সম্মেলনে হয়নি বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।