সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামীকাল। গত ৬ দিন সিলেটে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। ৬ দিনে গড়ে প্রতিদিন ১২০-১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভোটের দিনও বৃষ্টি থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানান দিচ্ছে। এতে জলাবদ্ধ হতে পারে নগরী। ভোটকেন্দ্রও জলাবদ্ধতার বাইরে থাকবে না। যদি ভোটকেন্দ্রে বন্যার পানি কিংবা জলাবদ্ধতার পানি ঢুকে তাহলে তাৎক্ষণিক বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। এমনটি গতকাল দুপুরে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের। তিনি জানান, গতকাল দুপুর পর্যন্ত পানি ওঠার কোনো খবর তাদের কাছে আসেনি। এলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিলেটের পুরাতন ২৭টি ওয়ার্ডে এবার জলাবদ্ধতার পানি স্থায়ী হচ্ছে না। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাচ্ছে। তবে নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া ১৫টি ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা স্থায়ী হচ্ছে। এরমধ্যে গত ১০-১২ দিন থেকে নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মইয়ারচর সরকারি প্রাথমিক ভোটকেন্দ্রটি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিক মকসুদ আহমদ জানান, কেন্দ্রের মাঠে পানি থাকলেও রুমের ভেতরে নেই। বাইরের রাস্তায় ভোটাররা এসে দাঁড়াতে পারবেন। ফলে ভোটগ্রহণে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।নগরের ২৫নং ওয়ার্ডের নসিবাখাতুন ভোটকেন্দ্রসহ কয়েকটি কেন্দ্রে সোমবার রাত পর্যন্ত জলাবদ্ধতা ছিল। ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করায় এসব কেন্দ্র থেকে পানি নেমে গেছে। তবে ভারী বর্ষণ হলে এসব কেন্দ্রে জলাবদ্ধতা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রার্থীরা। ২৪নং ওয়ার্ডের তেররতনের কেন্দ্র, ১০নং ওয়ার্ড, ১২নং ওয়ার্ড, ১৫নং ওয়ার্ডসহ নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া ৩৭, ৩৮নং ওয়ার্ডে সুরমা নদীর পানি উপচে পড়ে কয়েকটি কেন্দ্র ডোবার আশঙ্কা রয়েছে। তবে প্রার্থীরা বলছেন, আরও এক থেকে দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পেলে এসব ওয়ার্ডের কেন্দ্রে পানি ঢুকতে পারে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিপদজনক পরিমাপের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটে সুরমার পানি এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। রাতে ভারী বর্ষণ এবং উজানের ঢল নামলে হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তীর উপচে দু’এক দিনের মধ্যে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করবে না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিলেটের ভোটে ‘বাগড়া’ দিতে পারে ভারী বর্ষণ ও জলাবদ্ধতা
Advertisement