সিলেট অফিস :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্রের হার ৫ ভাগের নিচে নেমে আসবে। এশিয়ার ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপির হার এখন সবার উপরে। সারা দুনিয়ার মাঝে বাংলাদেশের জিডিপির হার এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দুনিয়ার সকল জিনিস বাংলাদেশে তৈরী হবে। প্রত্যেকের কাছে এখন কিছু টাকা আছে।
মঙ্গলবার রাতে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নবনির্বাচিত কমিটির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চেম্বার হল রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি আবু তাহের মোঃ শুয়েব।
সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, সিলেটে নতুন করে একটি হাউজিং এস্টেট করতে হবে। তিনি একটি জায়গা খোঁজার জন্য সিলেটের মানুষের প্রতি আহবান জানান। ব্যবসায়ীরা সরকারের একটি অংশ দাবী করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন একজন ব্যবসায়ী। সিলেট চেম্বার সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমি ভাগ্যবান। একজন ভাল প্রশাসক পেয়েছিলাম। তাঁর নেতৃত্বে সুন্দর একটি নির্বাচন সম্ভব হয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সিলেট চেম্বারের সাবেক প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমেদ ,সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। বক্তব্য রাখেন,মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি আফজল রশিদ চৌধুরী , চেম্বারের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ মিসবাহ, চেম্বারের সাবেক পরিচালক হিজকিল গুলজার, শাহ আলম, আমিরুজ্জামান চৌধুরী, চেম্বারের নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন, আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান সামিউল আলম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চেম্বারের সাবেক নেতা এমদাদ হোসেন। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন শেখ ঘাট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাদিকুর রহমান ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সিলেটে আমার নির্বাচনী এলাকায় অফিস উদ্ভোদন করেছি ।যাতে করে নির্বাচনী এলাকার মানুষ লিখিত আকারে বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে অফিসে আসে। সে অনুযায়ী কাজ করবেন বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, প্রতি সংসদ সদস্যকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় অফিস খরছের জন্য সরকার কিছু টাকা দেয়। কিন্তু এমপিরা অফিস খুলেননা ।আমি আফিস খুলেছি। আপানরা অফিসে যাবেন, চা কফি খাবেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর আয়তন বৃদ্ধি করা হবে বলে মন্ত্রী বলেন, সিটির পরিধি বেড়ে ১৭৯ বর্গ কি.মি. করা হবে। এ জন্য বাজেটও বেশি পাওয়া যাবে। মেয়রের মর্যাদাও বাড়বে ।