সিলেট জেলা আ.লীগে আলোচনায় ক্লিন ইমেজের শাহ ফরিদ

সিলেট অফিস :: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৫ ডিসেম্বর। দীর্ঘদিন পর সিলেটে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা। একই সাথে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে কারা আসছেন এ নিয়ে আলোচনা চলছে পুরো সিলেটজুড়ে।

আসন্ন সম্মেলনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেন বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী শাহ ফরিদ এ পদে প্রার্থী হওয়ায় তাকে ঘিরে উৎফুল্ল দলের নেতাকর্মীর। অনেকেই তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলোতে দাবি তুলছেন।

এছাড়া বর্তমান কমিটির সহ সভাপতির পদে থেকেও আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ায় শাহ ফরিদকে নিয়ে আলোচনা আরো জোড় পেয়েছে। নেতাকর্মীরা মনে করছেন পজেটিভ কোন ইঙ্গিত পেয়েই তিনি এ পদে প্রার্থী হয়েছেন।

এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদের সাথে। তিনি বলেন, প্রায় ৪ দশক ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করে আসছি। বিগত দিনে দলের দুঃসময়ে বিভিন্ন পদে থেকে মাঠে কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমার উপর আস্থা রেখে সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন তবে আমি যথার্থভাবে এই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, আমাদের দলে অনেক বিতর্কিত লোক ঢুকে গেছে, সেই সাথে অনেক অনুপ্রবেশকারীও দলে ঢুকেছে। আমি সাধারণ সম্পাদক হলে সিলেটের প্রতিটি ইউনিয়নে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করব এবং দলকে দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে রক্ষা করতে আমি বদ্ধ পরিকর।

শাহ ফরিদ আরো বলেন, আমাদের সরকার সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করছে কিন্তু কিছু নেতাকর্মীর জন্য এসব উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং জনগণের সমস্যা হচ্ছে। আমি নেতৃত্বে এলে দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি সরকারের পরিপুরক হয়ে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করব।

তৃণমূল থেকে গড়ে উঠা শাহ ফরিদ আহমদের রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে ১৯৭২ পরর্বতী সময়ে বিশ্বনাথ থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হিসাবে।

পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও আমির হলের এজিএস নির্বাচিত হন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অনার্স ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। পেশায় তিনি সিলেট জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবি।

স্বৈরশাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলন ও বিএনপি- জামাত জোট সরকারে দুঃশাসনসহ সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন এই রাজনিতিক।

২০০১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ২০০২ সালে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১১ সালে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দলীয় সকল কর্মসূচি এবং ভিশন বাস্তবায়নের একজন নিরলস নিভৃতচারী কর্মী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে জেলা শহরসহ ১৩টি উপজেলায় চষে বেড়িয়েছেন এই প্রচারবিমুখ নেতা।

একজন উচ্চ শিক্ষিত, ভদ্র, পরিচ্ছন্ন ইমেজের ব্যাক্তিকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করার দাবি উঠেছে খোদ তৃণমূল থেকে।

সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার শেখ হাসিনার সংগ্রামে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান শাহ ফরিদ আহমদ হতে পারেন সিলেট জেলার যোগ্য কান্ডারী।

শাহ ফরিদের বড় ভাই শাহ মোদাব্বির আলী মানিক মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের পাশাপাশি স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে বৃহত্তর সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

Advertisement