সুনামগঞ্জে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা, আসামি ২

সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে চিকিৎসক আবু জাহিদ মোহাম্মদ মাহমুদকে মারধরের ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই চিকিৎসক বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।সকালে ঘটনার পরই মামলার মিজানুর রহমান (২০) নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। তিনি ওই মামলার আসামি। আরেক আসামি হলেন মিজানুরের বড় ভাই সালেক আহমদ (২৮)। তাঁরা শহরের হাসননগর এলাকার আকিল মিয়ার ছেলে।সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুর রহমান বলেন, সকালে চিকিৎসক আবু জাহিদ মোহাম্মদ মাহমুদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে ওই চিকিৎসকের দায়ের করা মামলায় মিজানুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মিজানুর রহমান হাসপাতালে এসে তাঁর ভাই অসুস্থ জানিয়ে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসক আবু জাহিদ মোহাম্মদ মাহমুদকে তাঁদের বাড়িতে যেতে বলেন। তিনি জরুরি বিভাগের দায়িত্ব রেখে বাইরে যেতে পারবেন না জানিয়ে ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য মিজানুরকে অনুরোধ করেন।কিছুক্ষণ পর মিজানুরকে তাঁর ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে এলে ওই চিকিৎসকই রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেন। চিকিৎসা দেওয়ার পর মিজানুর তাঁর বাড়িতে না যাওয়ার বিষয়টি তুলে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারেন।বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে মিজানুর এলাকার আরও কিছু লোক নিয়ে আবার হাসপাতালে এসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা জন্য। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ হাসপাতাল থেকে মিজানুরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।চিকিৎসক আবু জাহিদ মোহাম্মদ মাহমুদ বলেন, ‘আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁকে (মিজানুর) বলেছি, জরুরি বিভাগের দায়িত্ব রেখে বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। পরে রোগী নিয়ে আসার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি। এরপরও তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আমার ওপর আক্রমণ করেন।’

Advertisement