সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতে একদিনে চার যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে জেলার শাল্লা, দিরাই ও জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের সুরেন্দ্র সরকারের ছেলে শংকর সরকার (২৬), জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরণ গ্রামের শিপন মিয়া (৩২), দিরাই উপজেলায় হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মফিজ উল্লার ছেলে তাপস মিয়া (৩৫) ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩৫)।
জানা যায়, শনিবার সকালে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাত ও সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।এ সময় শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে শংকর মিয়া বাড়ি থেকে স্থানীয় শাসখাই বাজারে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরণ গ্রামের কৈচাপরী এলাকার বাসিন্দা শিপন মিয়া সকালে নলুয়ার হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা যান।
আর দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চিনাউরা হাওরে কাজ করতে আসা হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উজেলার তাপস মিয়া বজ্রপাতে প্রাণ হারান। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ফরিদ মিয়া দুইটি গরু নিয়ে গাজীর খাল নামক হাওরে যান। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার শাসখাই বাজারে যাওয়ার পথে বজ্রপাতের কবলে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
জগন্নাথপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নলুয়ার হাওরে ধান কাটার সময় একজন বজ্রপাতে মারা গেছেন। এ সময় তার একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়।
দিরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, তাপস মিয়া দিরাইয়ে ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে এসেছিলেন। আমরা তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, হাওরে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। তার মরদেহ পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে গেছে।