বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে জাঁকজমক ভাবে উদযাপিত হলো তৃতীয় এনআরবি ডে ২০২২।গত ১৪ মার্চ সোমবার লন্ডন ইম্প্রেশন ইভেন্ট হলে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন যুক্তোরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি জনাব আশিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাইন্ উদ্দিন আনসার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দেশ ও কমিউনিটির উন্নয়নে অবদানের জন্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী জনাব সামসুদ্দিন খান ,জনাব সুহেল আজিজ ও মরহুম শামসুল আলম চৌধুরীকে “বিপিকেপি লাইফটাইম এয়ার্ড” প্রদান করা হয়। এছাড়া ইয়াং ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নোমান মালিককে লাইফটাইম সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহাগ্রন্ত আল কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের পেট্রন ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপির সুস্বাস্থ ও পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য সকলকে নিয়ে এক বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি আনিসুর রহমান।তৃতীয় এনআরবি ডে অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য স্লোগান “সেইভ আওয়ার প্রপার্টিয ” এর উপর একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন ব্যারিস্টার নাদিলা রহমান। প্রদর্শনীতে দেখানো হয় যেসব প্রবাসীরা তাঁদের সম্পদ নিয়ে সমস্যায় আছেন তাদের ৪০% অভিযোগ নিজ আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে। এই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন আইনের পাশাপাশি নিজের সচতেনতা।প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও স্থানীয় সরকারের আন্তরিকতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাঈদা মুনা তাসনিম বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের প্রশংসা করে বলেন প্রবাসীরা বাংলাদেশের প্রাণ। মুক্তিযোদ্ধ থেকে শুরু করে আজ অবদি প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে অসাধারন অবদান রেখে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ যেসব যুক্তিসঙ্গত দাবি-দাবা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তা বাস্তবায়ন আমি সরকারের কাছে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। তিনি বলেন একটি বিশেষ দিনকে যাতে এনআরবি ডে ঘোষণা করা হয় তার জন্য সরকারের কাছে আপনাদের জোর দাবি পৌছাবো । জনাবা তাসনিম যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ হাইকমিশন এর বিগত দিনের কাজ ও অগ্রগতির তথ্য দিয়ে জানান যে যুক্তরাজ্য হাইকমিশন তাদের সেবার মান উন্নত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে। ইতিপূর্বে আমরা সেবাগ্রহীতাদের সুবিধার্তে আমাদের অফিসের পরিধি বাড়িয়েছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হাইকমিশন থেকে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা যায় তার জন্য নতুন নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য আদান প্রদান চলছে।সভাপতির বক্তব্যে জনাব আশিকুর রহমান বলেন বিপিকেপি প্রবাসী সেবাগ্রহীতাদের সূবিধা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ হাই কমিশন তাদের একটি কনস্যলার সার্ভিস যাতে পূর্ব লন্ডনে চালু করে তার জন্য আমরা ক্যাম্পেইন করেছিলাম। বাংলাদেশ হাইকমিশন বাঙালীর প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত ব্রিকলেইনে এই সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে ।এ জন্য সকল বাংলাদেশী প্রবাসীদের পক্ষ মাননীয় হাইকমিশনার সাইয়িদা মুনা তাসনিমকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি ও আশা করছি এই সেবাকে যাতে মাসে দুইদিন করা যায় তার ব্যবস্থা করবেন।অনুষ্ঠানে অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টাবৃন্দ ,টাওয়ার হ্যামলেটস এর মেয়র ,স্পিকার ,ভিবিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।