ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: চার দিনের মধ্যেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’র বিজ্ঞানী সুরেশ কুমারের খুনের রহস্যভেদ করে ফেলল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক টেকনিশিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দাবি, ল্যাবের ওই টেকনিশিয়ানের সঙ্গে সমকামে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানী সুরেশ কুমার। সেক্সের পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ার কারণেই টেকনিশায়ানের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন তিনি।
এ ব্যাপারে গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জনি কুমার জানান, গ্রেপ্তারকৃত টেকনিশিয়ান জে শ্রীনিবাস ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করে ইসরোর বিজ্ঞানী সুরেশ কুমারকে। সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটির জন্য প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা দেননি সুরেশ। সেই নিয়ে বাকবিতণ্ডাতেই শ্রীনিবাসের হাতে তিনি খুন হন।
এই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত টেকনিশিয়ান। বিজ্ঞানী যে গে-সেক্সের কারণেই খুন হয়েছেন, তাও গ্রেপ্তারকৃতকে জেরা করেই জানা গিয়েছে। সুরেশ কুমারের বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াতও ছিল।
পুলিশ কমিশনার জানান, গ্রেপ্তারকৃত শ্রীনিবাসই যে বিজ্ঞানীকে খুন করেছে, সেই সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ পুলিশের হাতে রয়েছে। ওই টেকনিশিয়ানের কাছ থেকে কুমারের সোনার আংটি, খোওয়া যাওয়া নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। বিজ্ঞানীর আবাসনের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করা ছিল। সেটাও শ্রীনিবাসের খুনে জড়িত থাকার একটা প্রমাণ।
তিনি আরো জানান, বিজ্ঞানীর ফোনের কল ডিটেলস, ওই ঘর থেকে পাওয়া রক্তের নমুনা এবং পড়ে থাকা চুল থেকেই তাঁরা খুনির হদিশ পেয়েছেন।
জানা গেছে, ‘ইসরো’র ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (NRSC)-এ কর্মরত ছিলেন সুরেশ কুমার। গত মঙ্গলবার হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকার অন্নপূর্ণা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ওই বিজ্ঞানীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন দেখেই পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায় ইসরোর বিজ্ঞানীকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী কিছু দিয়ে সুরেশ কুমারের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। তার পর এলোপাথাড়িভাবে কোপানোও হয়।
খবরে বলা হয়েছে, হায়দরাবাদের ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন ৫৬ বছরের ওই মহাকাশ বিজ্ঞানী। তার আসল বাড়ি কেরালায়। কর্মসূত্রে হায়দরাবাদের ফ্ল্যাট তিনি একাই থাকতেন।