সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ হলে সোনারগাঁও দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।প্রতিমন্ত্রী আজ বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব ২০২২’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।কে এম খালিদ বলেন, ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবনসহ অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণের মাধ্যমে আরও অধিক সংখ্যক ঐতিহ্যবাহী লোক ও কারুশিল্পের নিদর্শন প্রদর্শন করা সম্ভব হবে। ভৌত অবকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে সুবিধা বৃদ্ধি করে অধিক সংখ্যক দর্শনার্থীর ফাউন্ডেশন পরিদর্শন নিশ্চিত করা যাবে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে অডিটোরিয়াম ভবন নির্মাণ, লোকজ রেঁস্তোরা নির্মাণ, লোকজ ঘাট নির্মাণ, বৈদ্যুতিকরণ, মেলার ময়দান উন্নয়ন, লেক পুনঃখনন, লেকের পাড় রক্ষা ও সেতু নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে এসব অবকাঠামোর কাজ এগিয়ে চলছে।কে এম খালিদ বলেন, ‘বহু প্রতীক্ষিত সোনারগাঁওয়ের পানাম সিটির একটি ভবনের রেস্টোরেশন কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। অন্যান্য ভবনসমূহের রেস্টোরেশন কাজ অচিরেই শুরু করতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।’সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ এলাহী ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সোনারগাঁও উপজেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ। পরে প্রতিমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।