কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার চেয়ে জাতিসংঘে আবারও জোরালো অবস্থান নিয়েছে ইরান।দেশটি বলছে, সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের’ প্রকৃষ্ট উদাহরণ; কাজেই জাতিসংঘের এ বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে সংস্থাটির ইউরোপীয় দফতরে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি ইসমাইল বাকায়ি হামানে এ ঘোষণা দেন।
গত বছর জানুয়ারিতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ ১০ জন। এই হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ তদন্ত শেষে জাতিসংঘ বলছে, সোলাইমানি হত্যা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন। কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার কোনো কারণ দেখাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও হাজির করতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন।সোলাইমানিকে হত্যার এই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।জাতিসংঘের এ বিশেষ প্রতিনিধি জেনারেল সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডকে ‘স্বেচ্ছাচারী হত্যাকাণ্ড’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।এ বিষয়ে হামানে বলেন, ওই পরিভাষা দিয়ে এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা পুরোপুরি দেওয়া সম্ভব হয়নি এবং এ কারণে জাতিসংঘ যেন বিষয়টিকে মোটেই হালকাভাবে না নেয়।ইরানের এ স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সম্মুখসারির কমান্ডার এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বীর সেনানী। কাজেই তাকে নির্বিচারে হত্যার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদী হামলায় যে বা যারা জড়িত ছিলো তাদের প্রত্যেককে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।