ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সৌদি আরবের আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে দেশটিতে মার্কিন সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সপ্তাহখানেক আগে রিয়াদের দুটি তেল স্থাপনায় হামলায় দেশটি তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে। যদিও ইরান সেই দায় অস্বীকার করছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদফতর পেন্টাগন বলছে, মাঝারি সংখ্যক সেনা এই মোতায়েনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এটা কয়েক হাজার হবে না। প্রাথমিক ধরনের দিক থেকে এটা প্রতিরক্ষামূলক হবে।
এছাড়া সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সামরিক অস্ত্র পাঠাতে বিস্তারিত পরিকল্পনাও তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছিল, সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যাটারি, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান পাঠাতে পরিকল্পনা করছে পেন্টাগন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় রণতরী দীর্ঘ সময় ধরে রাখার কথাও ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এক সংবাদসম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার বলেন, সৌদি আরবের অনুরোধে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এটা অনেকটা প্রতিরক্ষামূলক সিদ্ধান্ত। আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার বিষয়টিতে বেশি নজর দেয়া হবে।
এছাড়া সৌদি আরব ও আমিরাতে সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম হস্তান্তর ত্বরান্বিত করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপসাগরীয় দেশদুটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত শুক্রবারে পেন্টাগনের ঘোষণায় ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলার বিষয়টি নাকচ করে দেয়া হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেন শক্তিমত্তা দেখাতে সংযম অবলম্বন করবে। বরং তেহরানের বিরুদ্ধে আরেক দফা নিষেধাজ্ঞঅ আরোপ করেছেন তিনি।