ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: করোনা পরিস্থিতিতে টানা ৭ মাস ধরে বন্ধ থাকা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলতি বছরে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করতে শিক্ষার্থীদের চারটি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূলায়ন করা করা হবে। এজন্য একমাসে শেষ করা যাবে এমন একটি সিলেবাস প্রণয়ন করেছেন এনসিটিবি।
বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এনসিটিবির প্রণয়ন করা সিলেবাস থেকে চারটি অ্যাসাইনমেন্ট এক মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ সিলেবাসটি এনসিটিবির মাধ্যমে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে তা পৌঁছে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা খাতায় লিখে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এর বাইরে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের বাসার কাজ দেয়া যাবে না। চার সপ্তাহে শুধু চারটি অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা পৌঁছে দেবে।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাসের মহামারি কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই ছুটি থাকবে। এরপর আর ছুটি বাড়ানো হবে কিনা বলা যাচ্ছে না। তবে এই মুহূর্তে অনলাইন ও টেলিভিশনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), ইবতেদায়ি সমাপনী (ইইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ৭ অক্টোবর বাতিল ঘোষণা করা হয় এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে এবারের এইচএসসির ফল। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফল ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ওই সময় বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তায় সার্বিক বিবেচনায় ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। যেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তা বিবেচনা করছি। এ পরীক্ষার জন্য ৩০ থেকে ৩২ দিন সময় দরকার হয়। এক বেঞ্চে একজন ছাত্রী সম্ভব নয়। এখন কেন্দ্র দ্বিগুণ করার জনবল নেই।
এদিকে দেশে করোনায় প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৬ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৬৯৯ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৭ হাজার ১৪১ জন।