স্তনে প্লাস্টিক সার্জারির জন্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের ২৫ এবং ৩০ বছর বয়সী দুই বান্ধবী। কিন্তু দেশে ফিরে লকডাউন আইন অনুযায়ী নিজ খরচে ১০ দিনের হোটেল কোরানটাইন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিমান বন্দর থেকে সোজা পুলিশ হেফাজতে যেতে হয়েছে নিয়াম মালরেনি এবং ক্রিস্টি ম্যাকগ্র্যাথ নামের এই দুই মাকে।
দ্যা মিররে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, প্লাস্টিক সার্জারির কাজ শেষ করে শুক্রবার তারা দুবাই থেকে ডাবলিন বিমান বন্দরের ২ নম্বর টার্মিনালে নামেন। লকডাউন আইন অনুযায়ী, নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশ থেকে ফিরলেও নিজ খরচে ১০ দিন সরকার অনুমোদিত হোটেলে কোরানটাইন করতে হবে। ফ্লাইটে উঠার আগে অর্থ পরিশোধ করে হোটেল বুকিং দিতে হবে। কিন্তু হাতে যথেস্ট পরিমান অর্থ ছিল না বলে দুই মহিলা ফ্লাইটের আগে হোটেল বুকিং দেননি। বিমান বন্দরে নামার পরে বারবার নিরাপত্তা অফিসাররা তাদেরকে কোরানটাইনের জন্যে হোটেলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই তারা লকডাউন আইনের কথা শুনতে রাজি হননি। ফলে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়।
শনিবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে, ৩০ বছর বয়সী ক্রিস্টি ম্যাকগ্র্যাথ জানান, রুটিন চেকের কারণে তাদেরকে চিকিৎসার জন্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে হয়েছিল। কিন্তু ফেরার সময় যথেস্ট পরিমান অর্থ হাতে না থাকায় তারা কোরানটাইনের জন্যে হোটেল বুকিং দিতে পারেননি। এ কারণে ফিরতি ফ্লাইটও বুকিং নিচ্ছিল না সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে নিয়ামের বাবা ফরেন অফিসের সঙ্গে কথা বলে আগাম হোটেল বুকিং ছাড়াই তাদের ফিরতি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করান। কিন্তু ডাবলিনে পৌঁছার পর কেন তারা কোরানটাইনে যেতে চাচ্ছেন না তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ক্রিস্টি ম্যাকগ্র্যাথ। তারা এখনো পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। আদালতে বিচারক তাদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, করোনা মহামারিতে এই বিদেশ সফর কতোটা প্রয়োজন ছিল? এর জবাবেই উপরের কথাগুলো বলেন ম্যাকগ্রাথ।
উল্লেখ্য এই করোনা প্যান্ডামিকের মাঝেই দু সপ্তাহ আগেও তারা একই কাজে সংযুক্ত আরব আমিরাত ঘুরে আসেন।