ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের মানবাধিকার সুরক্ষার একটি বিলে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্যরা সর্বসম্মত মত দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সিনেটে ‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট’ বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন।
এ বিল পাসের ঘটনায় বেইজিং পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এদিন সিনেট সর্বসম্মতিক্রমে হংকং পুলিশের কাছে বিক্ষোভ দমনের সরঞ্জাম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব সংক্রান্ত একটি বিলও পাস করেছে।
সরঞ্জামগুলোর মধ্যে কাঁদুনে গ্যাস, পেপার স্প্রে, রাবার বুলেট, স্টানগান অন্যতম। এর মাধ্যমে কার্যত হংকং বিক্ষোভ আরও উসকে দিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সিনেটে পাস হওয়ায় পর নিয়ম অনুযায়ী বিলগুলো এখন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে যাবে।
প্রতিনিধি পরিষদ অবশ্য গতমাসেই মানবাধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত বিলের একটি নিজস্ব সংস্করণ পাস করেছে। প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানোর আগে দুইকক্ষ তাদের পাস করা সংস্করণগুলোর পার্থক্য নিয়ে কাজ করবে।
সিনেটে বিলটি নিয়ে বিতর্কের আগে সূচনা বক্তব্যে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও বলেন, ‘হংকংয়ের জনগণ দেখছে তাদের দিকে কী আসছে, তারা দেখছে ধারাবাহিকভাবে তাদের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।’
রুবিও এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্র খ্যাত হংকংয়ে ‘সহিংসতা ও দমন নিপীড়নের’ জন্য বেইজিংকে দায়ী করেছেন। বছরে অন্তত একবার হলেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিশেষ বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে হংকংয়ের পর্যাপ্ত স্বায়ত্তশাসন আছে না নেই-মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে সে বিষয়ক প্রত্যয়ন দিতে প্রথম বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে।
মানবাধিকার লংঘনের জন্য দায়ী হংকংয়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে এ বিলে। মার্কিন সিনেটে ‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট’ বিল পাসের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন।
সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় বেইজিং পাল্টা পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গ্যাং শুয়াং বলেন, ‘এ পদক্ষেপ ঘটনা ও সত্যকে অবজ্ঞা করেছে।