হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আজ। তবে, বাংলাদেশে প্রথম হজ ফ্লাইটটি অবতরণ করবে সোমবার (৩ জুলাই)।রোববার (২ জুলাই) রাত থেকে হাজিদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট ছাড়তে শুরু করবে। সোমবার ভোর ৬টা ৫ মিনিটে হাজিদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করবে।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন। এসব হজযাত্রীদের বহন করতে মোট ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে ৩২৫টি।এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করেছে।এদিকে হাজিদের সৌদিতে জমজমের পানি না কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে হাজিদের বহনকারী তিনটি এয়ারলাইন্স। ঢাকায় হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রত্যেক হাজি পাঁচ লিটার করে জমজমের পানি পাবেন। ঢাকা ছাড়া চট্টগ্রাম অথবা সিলেট বিমানবন্দরে একইভাবে জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।অন্যান্য বছর হাজিদের জন্য বোতলজাত সেই পানি ফ্লাইটে দিয়ে দেওয়া হতো। এবার সেই পানি আগেই থেকে বহন করে বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছে এয়ারলাইন্সগুলো। সে জন্য হজযাত্রীদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।তারা জানিয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছানোর সময় ফিরতি ফ্লাইট খালি থাকায় বিমানে জমজমের পানি নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজিদের জন্য জমজমের পানি মজুত রয়েছে। হাজিরা বাংলাদেশে আসলেই তাদের প্রত্যেককে পাঁচ লিটার করে জমজমের পানির একটি বক্স দিয়ে দেওয়া হবে।এয়ারলাইনগুলো জানায়, সৌদি সরকার প্রত্যেক হাজির জন্য পাঁচ লিটারের জমজমের পানি নির্ধারণ করেছে। এর বেশি পানি আনার সুযোগ নেই। কোনো হাজি লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা বিমানে তুলতে দেবে। একইভাবে অনেক হাজি সৌদি থেকে উট, দুম্বার কাঁচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। এটিও নিষিদ্ধ।
Advertisement