বৃহত্তর হর্ন অফ আফ্রিকা নামে পরিচিত অঞ্চলের দেশগুলোতে কয়েক মিলিয়ন মানুষ আপদকালীন ক্ষুধা ও স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও লড়াইসহ একের পর এক বিপর্যয়ের ফলে এই অবস্থা। এমনটাই সতর্ক করল জাতিসংঘের নেতৃস্থানীয় কয়েকটি সংস্থা।বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, পূর্ব আফ্রিকার সাতটি দেশ জিবুতি, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান ও উগান্ডা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার এক অভূতপূর্ব সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।ডব্লিউএফপি বলেছে, প্রায় ৬০ মিলিয়ন মানুষ সচল ও সুস্থ থাকার মতো পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না। এর ফলে তারা পশু বিক্রি করে দিচ্ছে। কোনও রকমে বেঁচে থাকতে পতিতাবৃত্তির মতো নেতিবাচক পথ বেছে নিচ্ছে তারা।কেনিয়ার নাইরোবিতে থাকা ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক ব্যুরোর সিনিয়র এমার্জেন্সি কর্মকর্তা ডমিনিক ফেরেত্তি বলেন,”আমরা যদি প্রয়োজনীয় অনুদান না পাই, চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ে থাকা মানুষগুলি মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়বে। আর এই নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন।জাতিসংঘের ইন্টিগ্রেটেড খাদ্য নিরাপত্তা পর্যায় সারণীর (আইপিসি) তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মাপকাঠি অনুযায়ী, চতুর্থ পর্যায়ে থাকা মানুষরা অত্যন্ত খাদ্য-ঘাটতিতে ভুগছে এবং ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পঞ্চম পর্যায়ের মানুষরা অনাহারে রয়েছে এবং দুর্ভিক্ষের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে গেছে।ফেরেত্তি বলেন, সোমালিয়ায় ৪০৩৫০ জন রয়েছে পঞ্চম পর্যায়ে এবং দক্ষিণ সুদানে এই পর্যায়ে রয়েছে ৪৩০০০ জন।তিনি উল্লেখ করেন, কোনও একটি আপদকালীন কারণে হর্ন অফ আফ্রিকাতে (আফ্রিকার শৃঙ্গ) এমন মারাত্মক মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।হর্ন অফ আফ্রিকাতে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে স্বস্তি নেমে এসেছে খানিকটা। সাম্প্রতিক অতীতে এই অঞ্চল দীর্ঘকালীন খরায় ভুগেছে। তবে, জাতিসংঘের সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে, এই সংকট কাটাতে বৃষ্টিই যথেষ্ট নয়।বস্তুত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এই অঞ্চলের মানুষ বহু স্বাস্থ্যগত সংকটে রয়েছে।সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
হর্ন অফ আফ্রিকাতে ক্ষুধার সংকটে কয়েক মিলিয়ন মানুষ
Advertisement