ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: জাপানে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাগিবিসের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেকে। হাগিবিস নামের ঝড়কে গত ৬০ বছরে জাপানের সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে। ঝড়ের জেরে ভূমিধস ও নদীতে জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। খবর জাপান টাইমসের
এদিকে জীবিতদের উদ্ধারে তৃতীয় দিনের মতো অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র এনএইচকে একথা জানায়।
সম্প্রচার কেন্দ্রটির খবরে বলা হয়, ভয়াবহ এ ঝড়ের আঘাতে এখনো ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। ঝড়টি শনিবার রাতে টোকিও ও এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। এতে অঞ্চলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিগত কয়েক দশকের মধ্যে ওই এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর অন্যতম ছিল এটি।
ঝড়ের কারণে বাতিল করা হয়েছে রাগবি বিশ্বকাপের আরো একটা ম্যাচ। প্রবল বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে জাপানের নাগানোতে। চিকুমা নদীর জলোচ্ছ্বাসের জেরে আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বাড়ির তিন তলা পর্যন্ত বন্যার পানি উঠে গেছে। দুর্যোগ পীড়িত মানুষদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে জাপানের সেনাবাহিনী।
বাড়ির ছাদে বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তোয়ালে নেড়ে সেনাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা গেছে দুর্গতদের। নাগানো শহরের এক জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তা ইয়াসুহিরো ইয়ামাগুচি জানিয়েছেন, এক রাতে ৪২৭টি বাড়ির ১ হাজার ৪১৭ জনকে সরানো হয়েছে। আরো কত বাড়ি বন্যা কবলিত তা স্পষ্ট নয়। আকাশপথে তোলা ফুটেজে দেখা গেছে, নাগানো শহরে পানিতে প্রায় অর্ধেক ডুবে গেছে বুলেট ট্রেন।
হাগিবিসের জেরে ইতোমধ্যেই প্রায় তিন লাখ বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। টোকিওর সঙ্গে সংযোগকারী সমস্ত বিমানের ফ্লাইট সোমবার সকাল পর্যন্ত বাতিল করা হয়। সরকার ৬ লাখ বাসিন্দাকে এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।
জাপানে ১৯৫৮ সালে আঘাত হানা টাইফুনে প্রায় ১২শ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। তীব্রতায় হাগিবিস তার সমকক্ষ হলেও হতাহত আগের মতো হবে না বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।