ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: তিনি নিজেকে ‘সমাজতাত্ত্বিক’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। কাতারের ওই ব্যক্তির নাম আবেদ আল আজিজ আল-খাজরাই। তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হাতে-কলমে বউ পেটানোর নিয়মকানুনের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যা নিয়ে এই মুহূর্তে রীতিমতো সমালোচনা হচ্ছে। এই ভিডিওতে তিনি দেখাতে চেয়েছেন, একজন মুসলিম কীভাবে বউ পিটিয়ে সংসারে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবে!
ভিডিওর শুরুতে তিনি বলেছেন, ‘অনেক পুরুষই বিশেষ করে যারা বিবাহিত, তারা জানতে চান যে কীভাবে বউ পেটাতে হয়। কিংবা বউ পেটানো জরুরি কিনা। একজন পুরুষ কি প্রতিদিন তার বউকে পেটাবে? না। একটু রয়েসয়ে পেটানো উচিত। এতে কোনো রকম ভালোবাসার স্থান নেই। বউকে একজন পুরুষ এমন পরিবেশে রাখবে, যাতে সে নিজের নারীত্ব এবং স্বামীর পুরুষত্ব সম্পর্কে বুঝতে পারে।’
আবেদ আজিজের এই ভিডিওতে একটি কিশোরকেও দেখা গেছে; যার মাধ্যমে তিনি বউ পেটানোর নিয়ম সম্পর্কে জ্ঞান দিয়েছেন। সেই কিশোরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন স্ত্রীর কোথায় কোথায় আঘাত করতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘স্বামী অবশ্যই নিজের শক্তি সম্পর্কে স্ত্রীকে শিক্ষা দেবে। তবে নবীজী (স.) খুবই ক্ষমাশীল ছিলেন। তিনি মেয়েদের মুখমণ্ডলে, মাথায় এবং নাকে আঘাত করতে নিষেধ করেছেন।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘স্ত্রীকে প্রথমে ধমক এবং উপদেশ দেবেন। তারপর তাকে বিছানায় নিয়ে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হবেন। এতকিছুর পরেও যদি কাজ না হয়, আপনি ‘শেষ দাওয়াই’ হিসেবে তাকে পেটাতে শুরু করুন। এমনভাবে তাকে আঘাত করবেন যাতে তার কোনো অঙ্গে ক্ষত কিংবা রক্তপাতের ঘটনা না ঘটে। এই যে দেখুন… আমি যেভাবে আঘাত করছি, ঠিক সেভাবেই আঘাত করবেন।’
ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষাধিক মানুষ দেখে ফেলেছেন। প্রচুর কমেন্ট এসেছে ভিডিওটিতে। যার সিংহভাগই সমালোচনা এবং নিন্দার। এত সমালোচনার ঝড় সামলাতে আবেদ আল আজিজ আল-খাজরাই কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে সেই ভিডিও নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া এবং সোশ্যাল সাইটে সমালোচনার ঝড় বইছে। মানুষকে ভুল বোঝানোর অভিযোগ তুলে আবেদ আল আজিজের বিচার চাইছেন অনেকেই।