হারবেন জেনেও কেন তারা প্রার্থী হলেন

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাটিক-এই দুই পার্টির বাইরে কেউ কি কখনো প্রেসিডেন্ট হয়েছেন? যদি এমন প্রশ্ন হয়, তাহলে উত্তর, হ্যাঁ মাত্র একবার। তাও আবার স্বতন্ত্র। আর তিনি হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন।

তাই বলা চলে, রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাটিক-এই দুই দলের বাইরে থেকে নির্বাচন করে প্রেসিডেন্ট হওয়া প্রায় অসম্ভব। তারপরেও অনেকে এই কঠিন সত্য জেনে নির্বাচনে লড়াই করছেন।

যেমন প্রায় ১,২১৬ জন প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হতে ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। কিন্তু কারা এরা?

এদের একজন পিয়ানোবাদক এবং বক্তা। আরেকজন আমেরিকান আদিবাসী এবং তথ্য প্রযুক্তিবিদ। অপরজন শত কোটি টাকার মালিক, সোজা কথায় বিলিয়নিয়ার। বিবিসি কথা বলেছে এই তিনজনের সাথে।

তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার কী? কেন তারা মনে করেন যে তারা আমেরিকানদের ভোট পাবার উপযুক্ত?

পিয়ানোবাদক জেড সিমন্স:

জেড সিমন্স একজন সাবেক বিউটি কুইন। পেশাদার পিয়ানোবাদক। মানুষকে উদ্দীপ্ত করার মতো বক্তা এবং একজন মা।

তিনি বলছেন, ‘আমি একজন নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মীর মেয়ে। আমার বাবা আমাকে এ শিক্ষা দিয়েছিলেন যে কোথাও অবিচার দেখলে তুমি নিজেকে প্রশ্ন করবে, তোমার নিজের কি এক্ষেত্রে কিছু করা প্রয়োজন?’

জেড সিমন্স জানান, তার লক্ষ্য হলো অর্থনীতি, শিক্ষা এবং ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার এনে সবার জন্য সমান সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত করা। সেই চেতনা থেকেই তিনি আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে কম খরচে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

জেড সিমন্স স্বীকার করেন যে, তার জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম কিন্তু তিনি মনে করেন এ বছর না হলেও পরবর্তীতে কোন এক সময় তিনি হোয়াইট হাউসে যেতে পারবেন।

ক্রিপটোকারেন্সি কোটিপতি ব্রক পিয়ার্স:

তিনি কেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন কেন? এর উত্তরে জানান, দেশের অবস্থা নিয়ে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, তাই।

বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সামনে ভবিষ্যতের পৃথিবীটা কেমন হবে তার কোন চিত্র নেই।’

গত চার বছর ধরে পিয়ার্স পুয়ের্তো রিকোতে জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন।

তিনি বলছেন শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা ভাবলে হবে না। জীবন, স্বাধীনতা, সুখী জীবনের সন্ধান- এগুলোকে কতটা তুলে ধরা হচ্ছে তা দিয়েই তিনি সাফল্য মাপতে চান।

পিয়ার্স বলছেন, তার মধ্যে রক্ষণশীল এবং উদারনৈতিক দুই প্রবণতাই রয়েছে। তিনি গাঁজা বৈধ করে দেবার পক্ষপাতী ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

মার্ক চার্লস প্রযুক্তিবিদ:

মার্ক চার্লস কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। তিনি আদিবাসী এবং অশ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের জীবনে প্রভাব ফেলে এমন ইস্যুতে সামাজিক আন্দোলনের কর্মী।

তিনি সেই সব ভোটারদের প্রার্থী হতে চান যারা ট্রাম্প বা বাইডেন কারোর সাথেই আত্মীয়তার বন্ধন অনুভব করেন না।

তিনি বলছেন, ‘যে এলাকার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি গড়ে উঠেছে, তা ছিল পিস্কাটাওয়ে জাতিগোষ্ঠীর আবাসভূমি। তারা কলম্বাস আসার আগে থেকেই ছিল, এখনো আছে। আমি তাদের স্বাগতিক জাতি হিসেবে সম্মান করতে চাই।’

Advertisement