ব্রিট বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ লন্ডনের ব্রিক্সটন নামক অঞ্চলের বাসিন্দা ইসমাইল মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোর ৩০ মার্চ কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এসময় তার পাশে কেউ ছিল না। মারা যাওয়ার সময় মা-বাবাকে শেষ দেখাও দেখতে পারেনি। কারণ ওই সময় তার পরিবারের সদস্যরা সেলফ আইসোলেশনে ছিলেন। কিশোর ইসমাইলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়ও অংশগ্রহণ করতে পারেননি তারা।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক, যার ১৩ বছরের এক সন্তান রয়েছে; তিনি বলেন, ইসমাইল মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব মারা যাওয়ার সময় বাবা-মা তার পাশে ছিলেন না। তার বাবা-মা ছাড়াই তাকে কবর দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি আমাকে কাঁদিয়েছে।
এদিকে, বুধবার দেশটির সরকার ঘোষণা করেছে যে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা বিদায় জানানোর জন্য সুযোগ পাবেন। কিন্তু এর আগে মারা যাওয়া ইসমাইলের পরিবারের সদস্যরা সেই সুযোগ পায়নি। তারপরও শোকার্ত এই পরিবারটি জানিয়েছে, এমন সুযোগ বা এমন নীতি প্রণয়ন করায় তারা খুশি। কারণ তাদের ছেলে মারা যাওয়ায় অন্য পরিবারে ঘনিষ্ঠজনরা তাদের স্বজনদের শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারবেন।
ইসমাইলের বোন বলেন, আমি এটা জেনে খুশি যে সরকার পরিবারগুলোকে বিদায় জানানোর সুযোগ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, এতো দ্রুত সবকিছু ঘটে যাচ্ছে যে এর বাস্তবতা গ্রহণ করা কঠিন। বিশেষত যখন আপনি তাদের শেষ মুহূর্তগুলোতে পাশে থাকতে পারবেন না।
করোনায় আক্রান্ত ইসমাইলের পাশে কেউ ছিল না। মারা যাওয়ার পরও পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে পারেনি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী থেকে একা একাই চলে যায় সে। কবর দেওয়ার সময়ও পরিবারের কেউ পাশে ছিলেন না। দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের এক মুসলিমদের কবরস্থানে তাকে কবর দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষামূলক পোশাক, গ্লাভস ও মুখোশ পরা কয়েকজন তার কফিনটিকে কবরে রাখেন।