মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি-২০১৯’ শীর্ষক এ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৫টি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর এবং ওশি’র উদ্যোগে মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে।
সেক্টরভিত্তিক তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ২৯৪ নিহত হয়েছে, ১৫৬ জন শ্রমিক নির্মাণ খাতে প্রাণ হারায়, পোশাক শিল্পে নিহত ৪০ জন, কৃষি-শ্রমিক নিহত হয়েছে ৯৮ জন এবং দিনমজুর মারা গেছে ৪৯ জন।
ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপার্সন ড. এস এম মোরশেদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওশি ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলম হোসেন ও যোগাযোগ কর্মকর্তা রিয়াদ আরিফ।
প্রতিবেদনে কর্মস্থলে হতাহতের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, বয়লার ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গৃহ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন এবং ধাতব আঘাতের কথা বলা হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে ওশির সুপারিশগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধিত ২০১৮) ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর আলোকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানের কার্যকর প্রয়োগের লক্ষ্যে নজরদারি বাড়ানো, বয়লার পরিদর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং বয়লার পরিদর্শন দপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা, কর্মস্থলে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ইউনিট চালু করা।