ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন বছরে আমরা সবসময়ই নতুন করে ভাবতে চাই, নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চাই এবং নতুন করে এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে ছাত্রদলের যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেই ঐহিত্যকে সমুন্নত রেখে, ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে এই ছাত্রদলের নেতৃত্বে এদেশে গণঅভ্যুত্থানে সূচনা হবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৯ সাল ছিল গণতন্ত্র ধ্বংসের বছর। দুর্ভাগ্যক্রমে এদেশের মানুষ যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিল, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনাই ছিল গণতান্ত্রিক চেতনা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, এবার তারা ভিন্ন কায়দায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার জন্য গণতন্ত্রকে ধবংস করেছে পুরো বছর জুড়েই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে, এই সরকার ও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন কখনো অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। এরপরেও গণতান্ত্রিক উপায়ে আমরা রাজনীতি করি, জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং আমাদের দাবিগুলোকে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটাকে আমরা একটা হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছি, এই নির্বাচনকে আমরা সেইভাবে দেখছি।
তিনি বলেন, আজকে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাকে ন্যূনতম আইনগত সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। তাকে মুক্ত করার জন্য এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে ছাত্রদল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহসভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।