ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ২০২০-২০২১ সালে করোনা লকডাউন লঙ্ঘন করে টেন ডাউনিং স্ট্রীটে পার্টিতে উপস্থিত থাকার দায়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, স্ত্রী ক্যারি জনসন এবং চ্যান্সেলার ঋষি সোনাককে জরিমানা আরোপ করেছে পুলিশ। এই জরিমানা পরিশোধ করেছেন বলেও স্বীকার করেছেন তারা।
২০২০-২০২১ সালে ইংল্যান্ডে করোনা লকডাউন চলাকালে ডাউনিং স্ট্রীটে একে একে অনেকগুলো লকডাউন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মুখে শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তা স্যু গ্রে’র অভ্যন্তরীন তদন্ত শেষে অন্তত ১২টি পার্টি আয়োজনের ব্যাপারে তদন্তের জন্যে মেট পুলিশকে সুপারিশ করেন। এরপর গত জানুয়ারী থেকে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে অন্তত ২০ জনের নামে জরিমানা আরোপ করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, স্ত্রী ক্যারি জনসন এবং চ্যান্সেলার ঋষি সোনাকও রয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসনই প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্রিটিশ আইন লঙ্ঘন করেছেন।
২০২০ সালের ১৯ শে জুন টেন ডাউনিং স্ট্রিটের স্টাফরা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্মদিনের পার্টি উদযাপন করেন। এই পার্টিতে উপস্থিত থেকে লকডাউন আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে জরিমানা আরোপ করে পুলিশ। তিনি জরিমানা পরিশোধ করেছেন বলেও স্বীকার করেছেন। বরিস জনসনের স্ত্রী ক্যারি জনসনও একটি জরিমানা পরিশোধ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ২০২১ সালে ক্রিস্টমাস পার্টিতে উপস্থিত থাকার দায়ে জরিমানা আরোপ করা হয় চ্যান্সেলার ঋষি সোনাককে।
২০২০ এবং ২০২১ সালে টেন ডাউনিং স্ট্রীট এবং হোয়াইটহলে একের পর এক লকডাউন আইন লঙ্ঘনের সংবাদ প্রকাশ হলেও বারবার সংসদে তা অস্বীকার করে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এমনকি চ্যান্সেলারও সংসদে লকডাউন আইন লঙ্ঘন করে হোয়াইটহল বা টেন ডাউনিং স্ট্রীটে পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন না বলে সেই সময় পার্লামেন্টে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু মেট পুলিশের জরিমানা আরোপের পর তা পরিশোধের মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত পার্টি আয়োজনের কথাই সত্যি প্রমানিত হয়েছে।
এ কারণে লেবার লিডার স্যার কিয়ার স্টারমার, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা এবং ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টোরজান, ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড, গ্রীনপার্টিসহ বিরোধী দলগুলো আবারো প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং চ্যান্সেলার ঋষি সোনাকের পদত্যাগের দাবী জানিয়েছেন।
তবে বরাবরের মতো এবারো প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ্যাপোলজি করেই বসে রয়েছেন। পদত্যাগ করবেন বলে মনে হয় না।