রবিবার যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশের ৪৭ তম মহান বিজয় দিবস পালন করেছে গ্রেটার ইষ্টবর্ণ বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।
৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। এ উপলক্ষে প্রতি বছর বাংলাদেশ এবং প্রবাসে বাঙ্গালীরা দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালন করে।
মজমিল হুসেনের সভাপতিত্বে এবং আব্দুল কাশেম ও সাজিয়া স্নিগ্ধার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইষ্ট সাসেক্স কাউনটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পিটার প্রাগনেল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইষ্ট সাসেক্স কাউনটি কাউন্সিলের ডেপুটি লিডার ডেভিড এল্কিন, ডেপুটি মেয়র ক্যাথি বালারড, স্বাধীনতা ট্রাস্টের ডিরেক্টর আনসার আহমেদ উল্লাহ প্রমুখ।
তিনটি ভাগে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পিটার প্রাগনেল তাঁর বক্তব্যে বলেন ,মাত্র ৪৭ বছরের একটি দেশ বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে যা সত্যি প্রশংসনীয়।
বিশেষ অতিথি ইষ্ট সাসেক্স কাউনটি কাউন্সিলের ডেপুটি লিডার ডেভিড এল্কিন বলেন ,শুধু ৭১র মুক্তিযুদ্ধ নয় ৫২র ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশকে অন্য যে কোন দেশ থেকে আলাদা অবস্থানে রেখেছে। বাঙালি বীরের জাতি।
মজমিল হুসেন বলেন, এদেশে বেড়ে ওঠা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার গৌরবজ্জল ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত করার জন্যই প্রতিবছর এ আয়োজন করা হয়ে থাকে। অতিথিদের বক্তব্যের পরেই বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস সম্বলিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে ছিল এদেশে বেড়ে ওঠা বাঙালি শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন এবং সঙ্গীত পরিবেশনা, পুরস্কার বিতরণীএবং বিজয় ফুল পরিধানের কার্যক্রম। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সালমা আকতার।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বাঙালি, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।