৫ বছরের জন্য কারাগারে পাঠানো হচ্ছে এই প্রোটিয়া ক্রিকেটারকে

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়াত অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের পর এই প্রথম একই অপরাধে দণ্ডিত হলেন দেশটির আরেক ক্রিকেটার।

৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। যে কারণে কারাভোগ করতে হচ্ছে তাকে।

প্রোটিয়া এই ক্রিকেটারের নাম গুলাম হোসেন বদির।

প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে ২টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৪০ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

জানা গেছে, এই শাস্তিই তার জন্য প্রথম নয়। তাকে ২০ বছরের জন্য যে কোনো ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।

প্রায় চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া র‍্যাম স্ল্যাম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ম্যাচ ফিক্সিং এবং অন্যদের প্রভাবিত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল গুলামের বিরুদ্ধে।

সে সময় ক্রিকেট বোর্ড তার ওপর ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ বিষয়য়ে একটি মামলা করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।

গতবছরের জুলাইয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন গুলাম বদি নিজেই। আদালতে নভেম্বরে তার অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৮ অক্টোবর গুলাম হোসেনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে প্রোটিয়া অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে ২০০৪ সালে ক্রিকেট বিষয়ে নতুন আইন করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেই নতুন আইন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় যেকোনো খেলাধুলায় ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিং গুরুতর অপরাধ। প্রমাণ সাপেক্ষে এ অপরাধে জড়িতদের সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে সেখানে।

আর সেই আইনের বেড়াজালে ধরা পড়লেন গুলাম বদি। তবে ১৫ বছর নয় অপরাধেরা মাত্রা অনুযায়ী গুলাম বদিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

১৫ বছর আগের করা সেই আইনে শাস্তি ভোগকারী গুলাম গুলাম হোসেন বদিরই প্রথম প্রোটিয়া ক্রিকেটার।

Advertisement